সারা বাংলা

বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনী আজ আত্মসমর্পণ করছে

বাগেরহাট প্রতিনিধি : দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে একের পর এক সুন্দরবনের বনদস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুর ১২টার দিকে বরিশাল র‌্যাব-৮-এর কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনী। ইতিমধ্যে বনদস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীরসহ ২০ বনদস্যু বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কাতলার খাল এলাকায় র‌্যাব হেফাজতে রয়েছে বলে র‌্যাব-৮ সূত্রে জানা গেছে। সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় বনদস্যু মাস্টার বাহিনীসহ ৮টি বনদস্যু বাহিনী আত্মসমর্পণের পর নবম বাহিনী হিসেবে জাহাঙ্গীর বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। এর আগে দস্যুতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে গত ৭ জানুয়ারি পটুয়াখালীর কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ১০৫ রাউন্ড গুলিসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করে বনদস্যু নোয়া বাহিনীর ১২ সদস্য। এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ মে সুন্দরবনের কুখ্যাত বনদস্যু মাস্টার বাহিনীর ১০ সদস্য ৫২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৪ হাজার ৫০০ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে প্রথমবারের মতো আত্মসমর্পণ করে। ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই সুন্দরবনের বনদস্যু মজনু ও ইলিয়াস বাহিনীর ১১ জন সদস্য ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১ হাজার ২০ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। ২০১৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বনদস্যু আলম ও শান্ত বাহিনীর ১৪ সদস্য ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ৮ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। গত ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর বনদস্যু সাগর বাহিনীর ১৩ সদস্য ২০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৯৬ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর বনদস্যু খোকাবাবু বাহিনীর ১২ সদস্য ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ৩ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। সুন্দরবন দাপিয়ে বেড়ানো ৮টি বনদস্যু বাহিনীর ৭২ জন সদস্য ১৬৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ৮ হাজার ৬৩৬ রাউন্ড গুলি জমা দিয়ে র‌্যাবের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যুরা ইতিমধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়ে ফিরেছে স্বাভাবিক জীবনে। এ সব দেখে সুন্দরবনের অন্য বনদস্যু বাহিনীগুলোর মধ্যে বাড়ছে আত্মসমর্পণের প্রবণতা। রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/২৯ জানুয়ারি ২০১৭/আলী আকবর টুটুল/উজ্জল/এএন