সারা বাংলা

কাঁঠলবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথ : দূরত্ব কমলেও ভাড়া কমেনি

মাদারীপুর প্রতিনিধি : পদ্মা পারাপারে দূরত্ব ৫ কিলোমিটার কমলেও ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটের ভাড়া কমেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ রুটে চলাচলকারী লক্ষাধিক মানুষ। এদিকে ফেরির ভাড়া কমানোর কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। জানা গেছে, ৩০ বছর আগে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ৫ কোটি মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌপথ চালু হয়। পদ্মার ভাঙনের কারণে ৪ বছর আগে মাওয়া ঘাট শিমুলিয়ায় স্থানান্তর করা হয়।  চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি কাওড়াকান্দি ঘাট কাঁঠালবাড়িতে স্থানান্তর করে সরকার। ফেরিঘাট কাঁঠালবাড়িতে স্থানান্তরের ফলে নৌপথে পদ্মা নদী পারাপারে দূরত্ব ৫ কিলোমিটার কমে যায়। এতে একদিকে যেমন জ্বালানি তেল সাশ্রয় হচ্ছে, পদ্মা পার হতেও সময় কম লাগছে। কিন্তু নৌযানগুলো আগের নির্ধারিত ভাড়া আদায় করছে।  এতে ভাড়া কমানোর দাবি জানিয়েছেন যাত্রী  ও পরিবহন চালকরা। এ পথে নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রী বিমল মণ্ডল বলেন, ‘নৌপথের দূরত্ব কমলেও সরকার এখনো ভাড়া কমাচ্ছে না।’ ট্রাকচালক ইকরাম হোসেন বলেন, ‘দূরত্ব ১৩ থেকে ৫ কি.মি থেকে কমে নৌপথ এখন ৮ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে।নৌযানগুলোর জ্বালানি তেলের সাশ্রয় হলেও ভাড়া কমানো নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই।’ বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিএম আতাউর রহমান বলেন, ‘ভাড়া কমানোর বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই। মন্ত্রণালয় যদি ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত দেয়, আমরা সেই অনুযায়ী ভাড়া নিবো।’ কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ রুহুল আমিন বলেন, ‘ফেরি ভাড়া কমানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। আমরা তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। তারা যদি ভাড়া কমাতে বলেন, আমরা ভাড়া কমিয়ে দিবো।’ তবে ভাড়া কমানো নিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘কয়েক দফা তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও ফেরির ভাড়া বাড়ানো হয়নি। তাই এখন নৌপথের দূরত্ব কমলেও ফেরির ভাড়া কমানোর কোন সুযোগ নেই। আর লঞ্চ ও স্পিডবোটের ভাড়া কমানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মালিকদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

   

রাইজিংবিডি/মাদারীপুর/২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/বেলাল রিজভী/উজ্জল