সারা বাংলা

আসামি গ্রেপ্তারের দাবিতে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহী মহানগরীর কাজলা এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত বিপ্লব হোসেন হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কও অবরোধ করা হয়। শনিবার বিকেলে নগরীর কাজলা এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক আধাঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় তারা খুনিদের ফাঁসি দাবি করে স্লোগানও দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। বিপ্লব হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর মতিহার থানার পরিদর্শক মাহবুব আলম বলেন, শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) মর্গে নিহত বিপ্লবের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। লাশ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় এলাকাবাসী মহাসড়কের ওপর বিক্ষোভ করেন। এ সময় মহাসড়কের ওপর লাশ রেখে তারা সড়কও অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে নগরীর কাজলা কেডি ক্লাব এলাকায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় বিপ্লব হোসেনকে। বিপ্লব ওই এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে। এ হত্যার ঘটনার শুক্রবার রাতে নিহত বিপ্লবের শ্বশুরসহ তিনজনকে আসামি করে মতিহার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের বড় ভাই আসাদ হোসেন বুলবুল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন নিহত বিপ্লবের শ্বশুর হাবিবুর রহমান (৫০), হাবিবুরের ছেলে রনি আহমেদ (২৮) ও তাদের প্রতিবেশী সাইদুর রহমান (৪০)। আসামিদের সবার বাড়ি নগরীর কাজলা এলাকায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রনি ও বিপ্লব দুই বন্ধু ছিলেন। প্রায় ৮ বছর আগে বিপ্লব ভালোবেসে রনির ছোট বোন লিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। কিন্তু এই বিয়ে মেনে নেননি রনি। চার বছর আগে বিপ্লব ও লিজার বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে। লিজা এখন তার ৭ বছর বয়সি মেয়ে অঙ্কিতাকে নিয়ে চট্টগ্রামে থাকেন। সেখানে তিনি একটি চাকরি করেন। তবে লিজা বাড়ি এলে বিপ্লবের সঙ্গে তার যোগাযোগ হতো। এ নিয়ে বিপ্লবের সঙ্গে ফের দ্বন্দ্ব শুরু হয় রনির। নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, শুক্রবার বিকেলে বাড়ির সামনেই বিপ্লবের বুকের দুই স্থানে ছুরিকাঘাত করেন রনি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছেন রনির বাবা হাবিবুর রহমান ও প্রতিবেশী সাইদুর রহমান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, ঘটনার সময় তিন আসামিই ঘটনাস্থলে ছিলেন বলে মামলার এজাহারে দাবি করা হয়েছে। তবে কে কে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করা হচ্ছে। রাইজিংবিডি/রাজশাহী/৪ মার্চ ২০১৭/তানজিমুল হক/রিশিত