সারা বাংলা

জেএমবি সম্পর্কে লেখায় খুন হন সাংবাদিক দীপংকর

বগুড়া প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১৩ বছর পর উদঘাটিত হলো বগুড়ার সাংবাদিক নেতা দীপংকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য। আলোচিত হলি আর্টিজান মামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী সাংবাদিক দীপংকরকে হত্যার দায় স্বীকার করে বগুড়ার শেরপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) সম্পর্কে পত্রিকায় লেখালেখি এবং বিভিন্ন আলোচনায় জেএমবি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায়, তৎকালীন জেএমবির শুরা সদস্য সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নির্দেশে শাইখ আ. আওয়াল দীপংকরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরে রাজীব গান্ধী, নুরুল্লাহ, সানাউল্লাহ ও মানিক মিলে দীপংকরকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। পরিকল্পনা মতো নুরুল্লাহ সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তীর ঘাড়ে   চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানায় জঙ্গি রাজীব গান্ধী। নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড রাজীব গান্ধীর বিরুদ্ধে হলি আর্টিজান হামলা ছাড়াও  বগুড়ার শিবগঞ্জের সন্ত্রাস দমন মামলায় এবং শেরপুরের জঙ্গি আস্তানায় গ্রেনেড হামলার মামলা আছে। পুলিশ সুপার আরো জানান, শেরপুরের মামলায় আরো ৭ দিনের রিমান্ডে আছে রাজীব। জঙ্গিদের মধ্যে মানিক সাভারে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নুরুল্লাহ, সানাউল্লাহর বিষয়ে পুলিশি তদন্ত চলছে। প্রসঙ্গত, দীপংকর চক্রবর্তী ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি এবং দুর্জয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক। ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর রাতে বগুড়া শেরপুরের বৈকালীপাড়ায় নিজ বাড়ির সামনেই দীপংকর চক্রবর্তীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে থানা পুলিশ, সিআইডি, ডিবি পুলিশের পর সবশেষ জেলা পুলিশের কাছে মামলার তদন্তভার আসে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই সংঘটিত হলি আর্টিজান হামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী রাজীব গান্ধীকে গ্রেপ্তারের পর বগুড়া জেলার শেরপুর থানার জোয়নপুরের জেএববি আস্তানায় বোমা বিস্ফোরণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে দীপংকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। রাইজিংবিডি/বগুড়া/৭ মার্চ ২০১৭/একে আজাদ/রুহুল/এএন