সারা বাংলা

প্রফেসর ডা. এম এস আকবরের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

মাগুরা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মোহম্মদ সিরাজুল আকবর এর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ । প্রফেসর আকবর ২০১৫ সালের ৯ মার্চ সন্ধ্যার পর মাগুরা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের প্রাক্তন সভাপতি এবং মাগুরা সদর- শ্রীপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্যও ছিলেন তিনি। ডা. মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে শহরের পৌর গোরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত, আছাদুজ্জামান মিলনায়তনে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের প্রাক্তন পরিচালক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর  ডা. মোহাম্মদ সিরাজুল আকবর মাগুরা-১ আসন থেকে পর-পর চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সংসদ সদস্যর পাশাপাশি (দুই মেয়াদে) বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়াম্যান ছিলেন। মৃত্যুর এক দিন আগে তিনি মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে তিনি ১১ বছর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ইংল্যান্ড, আয়াল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শিশু চিকিৎসার উপর সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী প্রফেসর আকবর মাগুরা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক মাগুরা’রও প্রকাশক। শিশু চিকিৎসার ওপর তার গবেষণাধর্মী অনেক লেখা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বের শতাধিক মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর লেকচার দিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক নানা সম্মেলন, সিম্পোজিয়ামে। শিশুদের টিবি রোগের ওপর ডা. আকবরের গবেষণাধর্মী কাজ ‘আকবরস গ্রেডিং অন চাইল্ড টিউবারক্লোসিস ডায়াগোনসিস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘আকবরস গ্রেডিং’ হিসেবে  আন্তর্জাতিকভাবে গৃহিত হয়েছে। নানা উন্নয়ন ও সামাজিক কাজের পাশাপাশি শততা, স্পষ্টভাষী, পরোপকারী, প্ররিশ্রমী মানুষ হিসেবে পরিচিত প্রফেসর আকবর দুই যুগের বেশি সময় ধরে নিয়মিতভাবে মাগুরাবাসীকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। বার-বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েও তিনি জেলার মানুষের কাছে সহজলভ্য একজন চিকিৎক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। প্রতি সপ্তাহের শুক্র থেকে রোববার রাতের ঘুম বাদে শিশু রোগীর চাপে তাকে চিকিৎসকের টেবিলেই সময় কাটাতে হতো। যে কারনে তিনি বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন জেলার সাধারণ মানুষের কাছে। রাইজিংবিডি/মাগুরা/ ৯ মার্চ ২০১৭/ মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন/টিপু