সারা বাংলা

শেষ দিনে ঠিকাদাররা দরপত্র ক্রয় করতে পারেননি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ই-টেন্ডারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল স্বচ্ছতার সঙ্গে ঠিকাদার নিয়োগ। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এ দরপত্র প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রকল্পের আওতায় ৬৪ লাখ টাকায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী কাজের দরপত্র ক্রয়ের শেষ দিন ছিল রোববার। সকাল থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের যমুনা ব্যাংকে ঠিকাদাররা দরপত্র ক্রয়ের জন্য আসলেও ইন্টারনেটে সার্ভার ত্রুটির কারণ দেখিয়ে দরপত্র ক্রয় করতে পারেননি। এ নিয়ে স্থানীয় ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করে দরপত্র ক্রয়ের সময় বৃদ্ধির দাবি জানান। চাড়োল উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী কাজের জন্য ৬৪ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের নম্বর ৮৭৮৫৭। ব্যাংক ড্রাফের জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার কথা বলা হয়। যমুনা ব্যাংকে টাকা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ রোববার। শেষ দিনে ঠিকাদাররা ব্যাংকে বিডি করতে আসলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সার্ভারে সংযোগ না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে টাকা জমা নেয়নি। যমুনা ব্যাংকে সিডিউল ক্রয়ে দায়িত্বরত কর্মকতা মো. কায়েস বলেন, সকাল থেকে ইন্টারনেটের সমস্যার কারণে টাকা জমা নেওয়া যাচ্ছে না। দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তর সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছে। ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম জানান, অফিস চলাকালীন ব্যাংকে টাকা জমা করা যাবে। কিন্তু যমুনা ব্যাংক সার্ভার ত্রুটির কারণ দেখিয়ে টাকা জমা বন্ধ করে দিয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকৌশলী প্রভাবশালীদের কাজটি বাগিয়ে দেওয়ার জন্য এমনটি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অনেক ঠিকাদার। যমুনা ব্যাংকের ঠাকুরগাঁও শাখার ম্যানেজার মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সার্ভার আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। যে প্রতিষ্ঠান দরপত্র আহ্বান করেছে সার্ভার তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন। সার্ভার বন্ধ হয়ে গেলে আমরা কীভাবে জমা করব।’ ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেষদিনে যারা সময়মতো ব্যাংকে টাকা জমা করতে পারেননি, সে ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই। তবুও ঠিকাদাররা যেহেতু অভিযোগ করেছেন, বিষয়টি দেখা হবে।’

   

রাইজিংবিডি/ঠাকুরগাঁও/১২ মার্চ ২০১৭/তানভীর হাসান তানু/বকুল