সারা বাংলা

উদ্ধার আরও ৭ মরদেহ, এখনো নিখোঁজ ১১

বাগেরহাট প্রতিনিধি : মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নতুন করে আরও ৭টি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে মোট ১২টি মরদেহ উদ্ধার হলো। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে ১ শিশু, ২ নারী ও ৪ জন পুরুষ রয়েছেন। দুর্ঘটনার ৩য় দিনে সকাল থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া ৭ জনের মধ্যে তিন জনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, মোরেলগঞ্জের বাসবাড়িয়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২), কালিকাবাড়ি এলাকার সালাম শেখের ছেলে আ. রফিক (৩৫) এবং পোলেরহাট এলাকার প্রয়াত কাসেম শেখের ছেলে  আ: মজিদ শেখ (৭৫)। ট্রলারডুবির ঘটনায় নৌবাহিনীর উদ্ধারদলের কমান্ডার শাহরিয়ার আকন সকালে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পানগুছি নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় ৭টি মরদেহ নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করেছে। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার ছোলমবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে প্রায় ৫০/৬০ জন যাত্রী নিয়ে মোরেলগঞ্জ পুরাতন থানার ঘাটে যাওয়ার পথে ট্রলারটি ডুবে যায়। নিখোঁজদের মধ্যে যাদের নাম পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পল্লীমঙ্গল গ্রামের বাচ্চু শেখের দশ মাস বয়সী ছেলে রাহাত, একই উপজেলার বারুইখালি গ্রামে শহীদুলের স্ত্রী লাবনী (২০), একই গ্রামের নাসিম শেখের ছেলে নাজমুল শেখ (৬), আলতি বুরুজবাড়িয়া গ্রামের গফফার হাওলাদারের ছেলে সুলতান হাওলাদার (৫৫), ফুলহাতা গ্রামের মহসিনের ছেলে হাসান (৬), চিংড়াখালি গ্রামের তবিবুর রহমানের স্ত্রী মুন্নি বেগম (৪০, উত্তর সুতালড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী কামরুন্নেছা (৫৮), পুঁটিখালি গ্রামের হালিম হাওলাদারের মেয়ে রিমা (২৬), বুরুজবাড়িয়া গ্রামের প্রয়াত আব্দুল গফুরের ছেলে মো. আনছার হাওলাদার (৫০), ভাইজোড় গ্রামের কালামের স্ত্রী খাদিজা (৪০), বাশবাড়িয়া গ্রামের আলম চাপড়াশির স্ত্রী সালমা (৩০), একই গ্রামের ইউনুস সরদারের স্ত্রী বিউটি (২৫) পাশ্ববর্তি শরণখোলা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের নাহিদ ওরফে লিটনের স্ত্রী নাছিমা (৩৫), একই উপজেলার শামছুল হুদার ছেলে আবির (১৫), পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পশ্চিম বানিপাড়া গ্রামের খলিল তালুকদারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (২৮)। বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার জানান, ফায়ার সার্ভিসের চারটি দলে ভাগ হয়ে পানগুছি নদীর বদনীভাঙ্গা থেকে ফুলহাতা পর্যন্ত তল্লাশি চালাচ্ছে। পানগুছি নদীর দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুই পাশের ১০ কিলোমিটার জুড়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, যারা নিখোঁজ হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের উদ্ধার করতে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। যতক্ষণ না তাদের পাওয়া যাচ্ছে অভিযান অব্যাহত থাকবে। রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/৩০ মার্চ ২০১৭/আলী আকবর টুটুল/টিপু