বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষকেরা হলেন, নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোল্লা সিদ্দিকুর রহমান, সহকারী শিক্ষক সাকির হোসেন, বিশ্বাস মোজাহিদুর রহমান ও মুরাদ আলী। রোববার দুপুরে এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এদিকে এ ঘটনায় পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক মো. মোল্লা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ে একজন নৈশপ্রহরী নিয়োগ নিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী আমজাদ হোসেনের সঙ্গে কমিটির অন্য সদস্যদের বিরোধ চলছিল। এক পর্যায়ে সদস্যরা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থার একটি লিখিত অভিযোগ দেন। রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ওই অভিযোগে কী লেখা হয়েছে তা আমাকে সভাপতি দেখাতে বলেন। আমি পরে দেখাব বললে তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে এসে অফিস কক্ষে ঢুকে হামলা করেন। এ সময় আমিসহ চার শিক্ষক আহত হই।’ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান প্রধান শিক্ষক। এদিকে নগরকান্দি সপ্তপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী আমজাদ হোসেন শিক্ষকদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ে লাচ্চু কাজী নামে একজনকে নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেওয়ার নামে প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সদস্যরা মোটা অংকের টাকা নেন। আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাদের মেধা তালিকা অনুযায়ী নিয়োগের অনুরোধ করি। কিন্তু তারা কৌশলে রেজুলেশন না লিখে বইয়ে জোরপূর্বক সই নেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারধর করে কক্ষে আটকে রাখেন। পরে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ মো. খায়রুল আনাম বলেন, বিদ্যালয়ে একজন নৈশপ্রহরী নিয়োগ নিয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে গাংনী ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি কাজী আমজাদ হোসেনকে প্রধান করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/২ এপ্রিল ২০১৭/আলী আকবর টুটুল/এসএন