সারা বাংলা

দুই রাজাকারের ফাঁসির আদেশে আনন্দ মিছিল

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : ১৯৭১ সালে কিশোরগঞ্জের রাজাকার মোসলেম প্রধান ও রাজাকার সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন এলাকাবাসীর কাছে ছিল মূর্তিমান আতংক। জেলার হাওর অধ্যুষিত নিকলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাদের বর্বরোচিত অত্যাচারের কথা আজো ভুলতে পারছে না এলাকার মানুষ। ওই সব অপরাধের দায়ে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল তাদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করায় কিশোরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। বুধবার দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সেখানে বক্তৃতা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল মান্নান ও মুক্তিযোদ্ধা বাছির উদ্দিন ফারুকী। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, নিকলী উপজেলার কামারহাটি গ্রামের লাভু শেখের ছেলে মো. মোসলেম প্রধান ও ব্র্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মাছিহাতা এলাকার মাওলানা মুসলেহ উদ্দিনের ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন কিশোরগঞ্জ সদর ও নিকলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হত্যা, নির্যাতনে মেতে ওঠে। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, ধর্ষণ, ধর্মান্তকরণ, ধর্মীয় নিপীড়ন ও মৃতদেহ গুমের আটটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে ছয়টি ও মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়। ১৯৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মো. হুসাইন ওরফে হোসেন ও তার সহযোগী নিকলী সদর ইউনিয়নের রাজাকার কমান্ডার মো. মোসলেম প্রধানের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গুরুই গ্রামে আক্রমণ করে পাকিস্তানি আর্মিদের সহায়তায় ২৬ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/১৯ এপ্রিল ২০১৭/রুমন চক্রবর্তী/রুহুল