সারা বাংলা

প্রতীক্ষিত মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচন মঙ্গলবার

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচন দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে নিবাচন কমিশন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপির প্রার্থীসহ ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৪৩ জন ও সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ১২ জন প্রার্থী রয়েছেন। মুকসুদপুর পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৪৮৮ জন ও মহিলা ভোটার ৭ হাজার ৪৪৯ জন। ভোট গ্রহণের জন্য স্বচ্ছ ভোটবাক্স, ব্যালট পেপারসহ সবকিছু প্রস্তুত রয়েছে।  আজ রোববার রাত ১২টার পরে বন্ধ হবে নির্বাচনী প্রচার। প্রথম নির্বাচনের ১৬ বছর পর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভোটারদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। প্রত্যেক প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তারা মনে করছেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান মিয়া। মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান লিপু ধানের শীর্ষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে মুকসুদপুর বাস মালিক সমিতির সভাপতি আহাজ্জাদ মহসিন খিপু (মোবাইল ফোন প্রতীক), ঠিকাদার মিজানুর রহমান মন্টু (চামচ প্রতীক), ইব্রাহিম খলিল বাহার (নারকেল গাছ প্রতীক) এবং সাজ্জাদ হোসেন মিয়া (জগ প্রতীক) মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান মিয়া বলেন, ‘এখানকার শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই নৌকার পক্ষে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার বিজয় এখন সময়ের ব্যাপার।’  বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান লিপু বলেন, ‘অনেকটা কৌশলে নির্বাচনী প্রচার  চালিয়েছি। অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতা-কর্মীদের প্রকাশ্যে বিরোধ থাকলেও বিএনপি প্রচারে কোনো বাধা বিঘ্ন আসেনি।’  স্বতন্ত্র প্রার্থী ইব্রাহীম খলিল বাহার ও সাজ্জাদ হোসেন মিয়া জানিয়েছেন, প্রচারে তারা ত্রুটি রাখেননি। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী শতভাগ। গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও মুকসুদপুর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মুন্সী ওহিদুজ্জামান বলেন, মুকসুদপুর পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১০ জন পুলিশ, ১৭ জন আনসার এবং নয়টি নির্বাচনী কেন্দ্রের জন্য নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। এক থেকে দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও র‌্যাবের দুটি টিম এবং সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে এর সংখ্যা বাড়তে পারে। রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/২৩ এপ্রিল ২০১৭/বাদল সাহা/বকুল