সারা বাংলা

সুমাইয়াকে জিঙ্গাসাবাদ করছে ৬ সদস্যের বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বেনীপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে আত্মসমর্পণ করা সুমাইয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ছয় সদস্যের  পুলিশ বোর্ড। গত রোববার রিমান্ড মঞ্জুরের পর ওই দিন বিকেল থেকেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোদাগাড়ী মডেল থানার পরিদর্শক আলতাফ হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সুমাইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে ছয় সদস্যের পুলিশ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডের নেতৃত্বে আছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী। পুলিশ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনই সুমাইয়া বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সুমাইয়ার দেওয়া কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চাননি তিনি। সুমাইয়া গোদাগাড়ীর দিয়াড় মানিকচক গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। জেএমবি সদস্য জহুরুলকে গত বছরের ৩১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর থেকে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সুমাইয়া উপজেলার বেনীপুর গ্রামে তার বাবা সাজ্জাদের বাড়িতে থাকতেন। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার ভোরে বেনীপুরের বাড়িটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। সকালে বাড়িটি থেকে কয়েকজন জঙ্গি বের হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হন সুমাইয়ার বাবা, মা, ভাই, বোন ও অপর এক বহিরাগত জঙ্গি। এ সময় নারী জঙ্গির অস্ত্রের আঘাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুল মতিন নিহত ও পুলিশের চার সদস্য আহত হন। পরে পুলিশের কাছে ধরা দেন সুমাইয়া। গত রোববার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুমাইয়াকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর পুলিশ ১৫ দিনের রিমান্ড চায়। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জঙ্গি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা সুমাইয়ার ৮ বছরের ছেলে তার চাচার হেফাজতে আছে। আর তিন মাসের মেয়ে আছে সুমাইয়ার কাছে।

     

রাইজিংবিডি/রাজশাহী/১৬ মে ২০১৭/তানজিমুল হক/এসএন