সারা বাংলা

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলীর মাদ্রাসাছিলা এলাকায় লাগা আগুন সন্ধ্যায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে লাগা আগুন দাবদাহের কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বনের চারদিকে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায় স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট। সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন ধানসাগর স্টেশন অফিসার মো. হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, ধানসাগর স্টেশনের নাংলী ক্যাম্পের ‘মাদ্রাসাছিলা’ এলাকায় সকালে আগুন লাগে। দুপুর পর্যন্ত সুন্দরবনের অনেক জায়গায় আগুন দেখা যাচ্ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য চারপাশে ‘ফায়ার লাইন’ কাটা হয়। সন্ধ্যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।  বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে অগ্নিকাণ্ডে জড়িত আগুনদস্যুদের চিহিৃত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদীজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটিতে চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান ও ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে সদস্য করা হয়েছে। মেহেদীজ্জামান জানান, বেলা ১১টার দিকে তারা আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বনকর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় শত শত মানুষ কলস-বালতি নিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। নাশকতা করে আগুন লাগানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সুন্দরবন বিভাগের সিএফ মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, বাগেরহাট, শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা চালায়। এ ছাড়া স্থানীয় শতাধিক লোকজন আগুন নেভানোর কাজে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সহায়তা করছেন। আগুনে কয়েক একর বনভূমি পুড়ে গেছে। এর আগে গত বছরের ২৮ মার্চ থেকে শুরু করে এক মাসে চার দফায় নাংলী ক্যাম্পের বিভিন্ন এলাকার অগ্নিকাণ্ড নাশকতামূলকভাবে ছিল বলে একাধিক তদন্ত কমিটি জানায়। সেই মামলায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/২৬ মে ২০১৭/টুটুল/বকুল