সারা বাংলা

ঈদের আগে চালু হচ্ছে চট্টগ্রামের দীর্ঘতম ফ্লাইওভার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের সবচেয়ে দীর্ঘতম ৫.২ কিলোমিটার আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার ঈদের আগেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য ঈদ উপহার হিসেবে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই ফ্লাইওভার চালু করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম। ঈদের আগমুহূর্তে নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নগরবাসীর সুবিধার জন্য ফ্লাইওভারটি চালু করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সিডিএ চেয়ারম্যান। আগামী সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হলেও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীকে এনে ফ্লাইওভারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। চট্টগ্রামের মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার ঈদের আগে মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার কিংবা লালখান বাজার থেকে মুরাদপুরের গাড়িগুলো ফ্লাইওভারে তুলে দেওয়া হলে ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড় এবং ওয়াসা মোড়ের যানজট অনেকটা কমে আসবে বলে সিডিএ চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সরজমিনে ফ্লাইওভার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ফ্লাইওভারে চলছে এখন শেষ মুহূর্তের কাজ। কোথাও পিচ ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। কোথাও ফ্লাইওভারের সাইডে অ্যাংগেল লাগানো হচ্ছে। রাত-দিন বিরতিহীন কাজ চলছে ফ্লাইওভারের ওপরে। তিন শিফটে লোক কাজ করছে। অত্যাধুনিক নানা যন্ত্রপাতিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ করতে সিডিএর পক্ষ থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। অন্তত ১৫ রমজানের মধ্যে ফ্লাইওভারটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে দেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সিডিএর পক্ষ থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ সালাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ঈদের আগে যানজট মোকাবেলায় এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য ঈদ উপহার হিসেবে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার পরীক্ষামূলক চালু করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পরীক্ষামূলক চালুর পর ফ্লাইওভারটিতে মুরাদপুর এবং লালখান বাজার থেকে গাড়িগুলো তুলে দেওয়া হলে মাঝের মুরাদপুর মোড়, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা মোড়ের যানজট পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। এসব রাস্তায় বর্তমানে যে পরিমাণ গাড়ি চলাচল করছে তা অনেক কমে যাবে। এতে নগরীর যান চলাচলে গতিশীলতা আসবে। উল্লেখ্য, মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত চার লেন বিশিষ্ট ৫.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ করছে ম্যাক্স রেক্নেন (জেভি) নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এই ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২৮ মে ২০১৭/রেজাউল/রুহুল