সারা বাংলা

বড়বোনকে হত্যার অভিযোগে ছোটবোন গ্রেপ্তার

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবান শহরের বালাঘাটার ভরাখালী এলাকায় বড়বোনকে হত্যার অভিযোগে ছোটবোনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম নাছিমা আক্তার (৩২)। গ্রেপ্তারকৃত ছোটবোনের নাম সুমি আক্তার (১৭)। নাছিমার আরেক বোন শাহিনা আক্তার বলেন, ‘নাছিমার স্বামী আমাকে ফোন করে বলেছে, তোর বোন বিষ পানে মারা গেছে। কিন্তু পরে স্থানীয়রা জানায়, স্বামী নিজেই তাকে মেরে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেছে।’ স্থানীয়রা জানায়, নাছিমার স্বামী আনোয়ার হোসেন শুক্রবার রাতে নাছিমাকে প্রহার করে। নাছিমা হচ্ছেন আনোয়ার হোসেনের প্রথম স্ত্রী। প্রহারের এক পর্যায়ে নাসিমা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় তার গলা চেপে ধরা হয়। পরে তার মুখে কিটনাশক ঢেলে দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর আনোয়ার  লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরো জানান, আনোয়ার এক বছর আগে নাছিমার আপন ছোটবোন সুমিকে বিয়ে করে এবং শহরের ভরাখালী এলাকায় দুই স্ত্রীকে আলাদাভাবে রাখে। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয় এবং প্রায়ই ঝগড়া হত। এলাকায় কয়েকবার সালিশি হলেও তাতে কোন সমাধান হয়নি বরং অশান্তি দিন দিন বেড়েছে। স্থানীয়রা বলেন, এ কারণেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের সময় নাছিমা আক্তারের তিন শিশু সন্তান ঘরে থাকলেও শনিবার সকাল থেকে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। নাছিমার মা জয়নাব বেগম বলেন, ‘আনোয়ার আমার মেয়েকে সবসময় মারধর করতো। অনেকবার বিচার হয়েছে। আর কোনোদিন মারবে না বলে সে ষ্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়েছে। কিন্তু তারপরও মেয়েকে মেরেছে। আমার মেয়ে প্রাণে বাঁচল না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’ বান্দরবান সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ওমর শরীফ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। কি কারণে মারা গেছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বলা যাবে। বান্দরবান সদর থানার উপপরিদর্শক এস আই মিজানুর রহমান বলেন, ‘নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের ছোট বোন সুমি আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ রাইজিংবিডি/বান্দরবান/১ জুলাই ২০১৭/এস বাসু দাশ/রুহুল/শাহনেওয়াজ