সারা বাংলা

এবার মিলল ৬৭টি গোখরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা এবং কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা থেকে ৬৭টি গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিদিরপুর ফকিরপাড়ায় মাইনুল ইসলামের বাড়ি। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে সাপের উপস্থিতি টের পান পরিবারের লোকজন। কিন্তু সাপটি পালিয়ে যায়। বাড়ির মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতে ব্যাঙ দিয়ে ফাঁদ পাতেন মাইনুল ইসলাম। তাতেই কাজ হয়েছে। ফাঁদে ধরা পড়ে মা গোখরাটি। এরপর বুধবার সকালে মা গোখরাকে দেখে পরিবারের লোকজন আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শুরু হয় সাপ নিধনের অভিযান। গর্ত খুড়ে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে সাপের ১৮টি বাচ্চা। বাড়ির মালিক মাইনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মা সাপটি ধরা পড়ার পরে বাড়ির সদস্যদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার সকাল থেকে তার বাড়ির আশপাশে ছোট-বড় গর্তগুলো খোড়া হয়। সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসে গোখরা সাপের ১৮টি বাচ্চা। পরে সেগুলোকে মারা হয়। এদিকে, কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার একটি বাড়ি থেকে ৪৭টি বাচ্চা ও একটি মা গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে খোকসা উপজেলা শহরে অবস্থিত খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে ওয়াশিম বিশ্বাসের বাড়ির শোবার ঘরের মেঝেতে হঠাৎ একটি সাপ দেখতে পাওয়া যায়। পরে ওই ঘরের মেঝেতে গর্ত দেখতে পেয়ে ওয়াশিম স্থানীয় সাঁপুড়েকে খবর দেন। সাঁপুড়ে আসার পর ওই ঘরের মেঝে খুঁড়ে গোখরা সাপের ৪৭টি বাচ্চা ও একটি মা সাপকে উদ্ধার করে। খোকসা থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত কয়েক দিনে রাজশাহী এবং কুষ্টিয়া থেকে দুই শতাধিক গোখরা সাপ বা সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়িতে গোখরার বাচ্চা পাওয়ার কারণে এখন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্ষা মৌসুমে এটি স্বাভাবিক ঘটনা উল্লেখ করে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস। রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/১২ জুলাই ২০১৭/কাঞ্চন কুমার/বকুল