সারা বাংলা

ব্যতিক্রমী ঠিকাদার বটে!

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ব্যতিক্রম এক ঠিকাদারের সন্ধান মিলেছে ফরিদপুরে। ওই ঠিকাদার দু’টি প্রাইমারি স্কুলের চেয়ার-টেবিল-বেঞ্চ সরবরাহের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, একটি ফার্নিচারের দোকানে তা নির্মাণেরও অর্ডার দেন।কিন্তু সরবরাহ না করেই তিনি লাখ টাকার বিল তুলে নিয়ে গেছেন। জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ ইং অর্থ বছরে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের উত্তর নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরকল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র সরবরাহের দ্বায়িত্ব পেয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার এমপি ডাঙ্গী গ্রামের শামসুদ্দিন মোল্যা। দুই স্কুলের জন্য বরাদ্দকৃত আসবাবপত্রের মধ্যে ছিল ১৬ জোড়া বেঞ্চ, ৮টি চেয়ার ও ৮টি টেবিল। আসবাবপত্র নির্মাণে এডিপি’র অর্থায়নে এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয় উপজেলা এলজিইডি। ঠিকাদার শামসুদ্দিন মোল্যা উপজেলা সদর বাজারে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোঃ ফজলুর রহমান খানের দোকানে এসব আসবাবপত্র তৈরিরও অর্ডার দেন।এরপর স্কুলের শিক্ষকদের ফার্নিচারের দোকানে নিয়ে বানানো বেঞ্চ দেখিয়ে কৌশলে আসবাপত্র বুঝে পাওয়ার প্রত্যয়ন নিয়ে বিল তুলে নিয়ে যান। অথচ এ ঘটনার প্রায় এক বছর পার হলেও কোনো আসবাবপত্রই আর সরবরাহ করেনি। চতুর ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি তো শিক্ষকদের দোকান থেকে আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করেছি, না নিলে আমি কি করবো।’ ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোঃ ফজলুর রহমান খান বলেন, ‘গত এক বছর ধরে ফার্নিচার তৈরি করিয়ে দোকানে ফেলে রাখা হয়েছে, ঠিকাদার আমার টাকাও দেয় না, ফার্নিচারও নেয় না।’ উত্তর নবাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুবিয়া আক্তার বলেন, ‘২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে জুন ক্লোজিংয়ের সময় ঠিকাদার দোকানে তৈরি বেঞ্চ দেখিয়ে এবং আজকালের মধ্যে আসবাবপত্র বিদ্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জোর আকুতিসহ তদবির করে প্রত্যয়ন নিয়েছেন, কিন্ত আজও চেয়ার টেবিল ও বেঞ্চ কিছুই পাইনি।’ উপজেলা প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘গত বছর আমি ছিলাম না, আমার নতুন পোস্টিং হয়েছে, স্কুলের ফার্নিচারের কথা শুনেছি, ঠিকাদার নাকি শীঘ্রই দিয়ে দিবে।’ এদিকে চরের এই দু’টি স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্লাশে বেঞ্চের অভাবে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/২৩ জুলাই ২০১৭/মনিরুল ইসলাম টিটো/টিপু