সারা বাংলা

তুফানসহ ৪ আসামি ফের রিমান্ডে

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং তাকে ও তার মাকে নির্যাতন করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনার হোতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী, শাশুড়ি এবং এক সহযোগীকে ফের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার নয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর মধ্যে নির্যাতিতদের চুল কাটার নাপিত জীবন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গাড়িচালক, তুফানের শ্বশুরসহ চারজনকে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। আজ বুধবার বিকেলে তুফান সরকারসহ নয় আসামিকে রিমান্ড শেষে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় প্রধান আসামি তুফান সরকার, সহযোগী মুন্না, স্ত্রী আশা বেগম, শাশুড়ি রুমি বেগমের ফের সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ। এ সময় আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায়  আসামি তুফান সরকার ও তার সহযোগী মুন্নাকে দুই দিন এবং স্ত্রী আশা বেগম এবং শাশুড়ি রুমি বেগমকে একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নাপিত জীবন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি আসামি গাড়ি চালক জিতু, তুফানের শ্বশুর রুনু, সহযোগী দিপু, রুপমকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তুফান সরকারের সহযোগী আতিকুর রহমান ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পাশাপাশি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় গত ২৮ জুলাই বগুড়া সদর থানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, বগুড়া পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। নয়জন আসামিকে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বগুড়ার এক কিশোরীকে ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ১৭ জুলাই ও পরে কয়েকবার ধর্ষণ করেন জাতীয় শ্রমিক লীগের বগুড়া শহর শাখার আহ্বায়ক তুফান সরকার। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন তার কয়েকজন সহযোগী। বিষয়টি জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ ‘একদল সন্ত্রাসী’ ওই কিশোরী এবং তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে মারধর করে নাপিত দিয়ে মা ও মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেন। এ ঘটনার পর তুফানকে শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ আগস্ট ২০১৭/এ কে আজাদ/বকুল