নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের ২৩৩ জন হজযাত্রীকে মক্কায় নিয়ে হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এস আলম গ্রুপের পক্ষে তাদের আইনজীবী এম জিয়া হাবিব আহসান অভিযুক্ত হজ এজেন্সি শাহ আমানত হজ কাফেলার কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে নোটিস পাঠিয়েছেন। নোটিসে আগামীকাল শনিবারের মধ্যে হজযাত্রীদের সমস্যার সমাধান করতে সময় বেঁধে দিয়েছেন। প্রতারিত হজযাত্রীরা দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের আর্থিক সহায়তায় হজ করতে গিয়েছেন। অ্যাডভোকেট এম জিয়া হাবিব আহসান রাইজিংবিডিকে বলেন, প্রতি বছর আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল অনেক ব্যক্তিকে হজে পাঠায় এস আলম গ্রুপ। এ বছরও হজ এজেন্সি শাহ আমানত হজ কাফেলার মাধ্যমে ২৩৩ জনকে সৌদি আরবে হজ করতে পাঠিয়েছে। তাদের জন্য ‘এ’ ক্যাটাগরির জনপ্রতি ৩ লাখ ৬০ হাজার করে মোট ৮ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। তিনি বলেন, গত ৭ আগস্ট এ সকল হজযাত্রীর মদিনায় পৌঁছানো হয়। সেখানে শাহ আমানত হজ কাফেলা কর্তৃপক্ষ তাদের নির্ধারিত হোটেলে না রেখে বিভিন্ন নন-এসি রুমের এক-একটি কক্ষে ৮-১০ জন করে ঠাসাঠাসি করে রাখে। এ সব কক্ষে সংযুক্ত টয়লেট, বাথরুম নেই। এতে অনেক হজযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের বার বার হোটেল পরিবর্তনসহ বিভিন্নভাবে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাগেজ নিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। এমন প্রতারণা মাধ্যমে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ এনে শাহ আমানত হজ কাফেলাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় সেবা নিশ্চিত করতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এম জিয়া হাবিব আহসান। তা নাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাহ আমানত হজ কাফেলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, ‘মক্কায় আমরা হজযাত্রীদের জন্য যে বাড়ি ভাড়া করেছি, সেই বাড়ির মালিকানা নিয়ে জটিলতার কারণে এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হোটেল সিলগালা করে দেওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। দ্রুত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’ রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১১ আগস্ট ২০১৭/রেজাউল/বকুল