সারা বাংলা

নীলফামারীর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে সৈয়দপুর শহরের অনেক এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। রোববার সকালে পশ্চিম পাটোয়ারী পাড়ায় খড়খড়িয়া নদীর বাঁধ ভেঙে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে সৈয়দপুরের পাটোয়ারী পাড়া, বসুনিয়া পাড়া, কুন্দল, নয়াবাজার ও বাঁশবাড়ী এলাকায় নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। সৈয়দপুরের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ সব বাড়ির কোথায় কোমর, কোথাও হাঁটু পানি উঠে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সৈয়দপুরের ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এলাকায় দুর্গত মানুষেরা এখানে আশ্রয় নিয়েছেন।   রোববার দুপুর পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও পৌরসভার সদস্যরা বাঁধটি মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। আজ স্থানীয়দের সহায়তায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধটি মেরামতে কাজ করছেন। দুপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শন করে সেটিসহ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত সব বাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণের ঘোষণা দেন। এ সময় তার সঙ্গে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বজলুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। রোববার থেকে কমতে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। আজ সকালে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রাইজিংবিডি/নীলফামারী/১৪ আগস্ট ২০১৭/ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন/বকুল