সারা বাংলা

মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি

কক্সবাজার প্রতিনিধি : সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর প্রতিনিয়ত সৈন্য সমাবেশ বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর (বিজিবি) ধারণা, মিয়ানমার সরকার সেদেশের সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা জোরদার করায় সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা সমাবেশ ঘটিয়ে থাকতে পারে। গত কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবির সতর্ক নজরদারি চলছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম আরিফুল ইসলাম ও কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান। বিজিবির কর্মকর্তারা জানান, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা সমাবেশের কারণে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কার বিষয়টি ধরে নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবির এ সতর্কতামূলক নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। লে. কর্নেল এম আরিফুল ইসলাম বলেন, “মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তের রাখাইন প্রদেশের (আরাকান প্রদেশ) আকিয়াব জেলার মংডু, বুচিডং ও রাচিডংসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গত কিছু দিন ধরে সেনা সমাবেশ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা ঠেকাতে আমরাও বিজিবির ফোর্স বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্তে নিরবচ্ছিন্ন টহল জোরদার করেছি।’’ “সেনা উপস্থিতির কারণে সেদেশের রোহিঙ্গাদের দলে দলে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থাকে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার পাশাপাশি সেদেশের যে কোনো অপরাধী যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারেন, আমরা এ বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুত রেখেছি মাত্র।” তবে এ নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেদেশের সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য অভিযান চালাচ্ছে- জানিয়ে আরিফুল বলেন, “সীমান্তের ওপারে খবর নিয়ে যতটুকু জেনেছি, সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে মূলত সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য। তাদের টার্গেট সাধারণ রোহিঙ্গারা নয়, অপরাধ সংঘটনকারী সন্ত্রাসীরা।” বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, “মিয়ানমার সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটনানোর বিষয়টি বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বার্তা পেয়ে আমরাও সীমান্তে ফোর্সের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন টহল জোরদার এবং সতর্কতা বাড়িয়েছি। ” গত তিন দিন ধরে সীমান্তে বিজিবির অতিরিক্ত সতর্কতা চলছে বলে জানান মঞ্জুরুল। তবে মিয়ানমারে সেনা সমাবেশের কারণে এ মুহূর্তে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “দু’-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাঝে-মধ্যে ঘটলেও আমরা সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক দিয়েছি।” তারপরও যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থেকে নিজেদের প্রস্তুত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবির এ কর্মকর্তা। রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১৬ আগস্ট ২০১৭/সুজাউদ্দিন রুবেল/বকুল