সারা বাংলা

যমুনার পানি বিপৎসীমার ১৪৬ সেমি উপরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : কয়েক দিনের বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় পানি ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় টাঙ্গাইলের পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যমুনা নদীর নলীন পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৪৬ সেন্টিমিটার ও কালিহাতীর যোগারচর পয়েন্টে ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের নওগাঁ-জসিহাটির ঝিনাই নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে সদর, বাসাইল ও কালিহাতী উপজেলার নওগাঁ, জসিহাটি, তারটিয়া, তীরগঞ্জ, ফুলকী ও ময়থা গ্রামসহ অন্তত ২০টি গ্রাম নতুন করে তলিয়ে গেছে। এ সব গ্রামের আমন, বোরো ধানের চারা, উঠতি সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া ও লৌহজং নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে লক্ষাধিক মানুষ। ভূঞাপুর উপজেলায় যমুনার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে চারটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে দুই হাজারেরও বেশি হেক্টর ফসলি জমি। যমুনা নদী রক্ষা বাঁধের টাঙ্গাইল-তারাকান্দী সড়কটির অন্তত ১০টি স্থান ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় সেটি যে কোনো সময় ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধের পূর্ব দিকের তারাই, গাড়াবাড়ী, কুটিবয়ড়া, চুকই নগর, অর্জুনা, জগৎপুড়াসহ অন্তত ১০ স্থানে বাঁধের নিচের ছিদ্র দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ বলেন, উজানের ঢল ও টানা বর্ষণের ফলে পানির প্রবাহ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। যমুনা নদীর পানি প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙনের কবলে পড়েছে টাঙ্গাইল-তারাকান্দী বাঁধ। বাঁধের পূর্ব দিকের ১০ স্থান ছিদ্র হয়ে ধীরে ধীরে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। বাঁধ ভেঙে গেলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ দীর্ঘমেয়াদে বন্যার কবলে পড়বে। রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/১৬ আগস্ট ২০১৭/শাহরিয়ার সিফাত/বকুল