সারা বাংলা

সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি স্থিতিশীল

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : পাহাড়ি ঢলে মাত্র সাতদিনের মধ্যে যমুনার পানি ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার রেকর্ড ভেঙে বিপৎসীমার ১৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পানি না বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে। জেলার পাঁচ উপজেলার তিন শতাধিক গ্রামের সাড়ে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চরাঞ্চলের টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চরাঞ্চলের মানুষ সার্বক্ষণিক পানিতে চলাফেরা করায় হাত-পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে। এদিকে চরাঞ্চলের মানুষের রান্না করার উপকরণ না থাকায় অনেকে অর্ধাহারে অনাহারে দিন যাপন করছেন। এসব মানুষ অবিলম্বে শুকনো খাবার ও ওষুধের জন্য সরকারে কাছে দাবি জানিয়েছেন। সরকারিভাবে ৩৩৫ মেট্টিক টন চাল ও নগদ সাড়ে ১২ লাখ টাকা বিতরণ করা হলেও তা অনেকের কাছে পৌঁছেনি বলে বন্যার্তদের অভিযোগ। অন্যদিকে বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষ পলিথিন ও ঝুপড়ির মধ্যে গরু-ছাগলের সঙ্গে রাত যাপন করছেন। তবে এসব এলাকার মানুষের অভিযোগ এতো কষ্ট থাকলেও এলাকার জনপ্রতিনিধরা তাদের খোঁজ খবর নিতে আসেনি। বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পানি চুইয়ে চুইয়ে পড়ায় শহরের মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, বুধবার সন্ধা থেকে যমুনার পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আজ থেকে পানি কমার সম্ভবনা রয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বন্যা মোকাবিলায় সিরাজগঞ্জ ত্রাণ অফিস সব সময়ের জন্য প্রস্তুত। বন্যা মোকাবিলায় জেলায় ১৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য ১৭০ মেট্টিক টন চাল ও সাড়ে ৮ লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে। রাইজিংবিডি/সিরাজগঞ্জ/১৭ আগস্ট ২০১৭/অদিত্য রাসেল/রুহুল