সারা বাংলা

সিরাজগঞ্জে ২৮৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলায় এখনো ২৮৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও বিপৎসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় সদর, কাজিপুর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়নের তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গম চরাঞ্চলের অবস্থা আরো নাজুক। জ্বালানি, ওষুধ, ত্রাণ, স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানি সংকটে পানিবন্দি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, ১৯৮৮ সালে জেলায় বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল। এবার সেই সীমার চেয়েও ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রক্ষায় সার্বক্ষণিক একজন অফিসার নিয়োগসহ গ্রাম পুলিশ নিয়োগে ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬টি উপজেলায় ৪০০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাইজিংবিডি/সিরাজগঞ্জ/১৮ আগস্ট ২০১৭/অদিত্য রাসেল/উজ্জল