সারা বাংলা

খুলনায় ৩৩টি পশুর হাট বসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : ঈদুল আজহা উপলক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলায় এবার ৩৩টি পশুর হাট বসবে। ইতোমধ্যে বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়ায় ছাগলের হাট বসতে শুরু করেছে। ২৬ আগস্ট খুলনা নগরীর জোড়াগেট পশুর হাটের উদ্বোধন করা হবে। জেলার অধিকাংশ হাটে শুরুর প্রস্ততি চলছে। ব্যাপারিরা নিজের খাটালে গরু আনতে শুরু করেছে। ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাট চালু থাকবে। জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সূত্র জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে- খুলনা মহানগরীর জোড়াগেট; ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া, শাহাপুর, আঠারো মাইল, চুকনগর; পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর, কাছিকাটা, পাইকগাছা জিরোপয়েন্ট; দাকোপ উপজেলার বাজুয়া, চালনা; কয়রা উপজেলার দেউলিয়া, গোবিন্দপুর, কালনা, ঘুগরাকাঠি, মান্দারবাড়িয়া, হোগলা; ফুলতলা উপজেলা সদর; দিঘলিয়া উপজেলার এম এম মজিদ কলেজ মাঠ, জালাল উদ্দিন কলেজ মাঠ, পথেরবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়; তেরখাদা উপজেলার ইখড়ি কাটেঙ্গা; বটিয়াঘাটা উপজেলার বাইনতলা, খুটিরহাট, উপজেলা সদর, বারোআড়িয়া; রূপসা উপজেলার আমতলা, তালিমপুর ও পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড। পুলিশ প্রশাসনের সূত্র জানান, কোরবানির পশুবাহী ট্রাককে কোনোক্রমে পথের মাঝখানে আটকানো যাবে না। পশু ও ব্যাপারিদের নিরাপত্তার জন্য উল্লেখযোগ্য সড়কে পুলিশের টহল থাকবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) সি এ হালিম পশুর হাটের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বলেছেন, প্রত্যেক হাটে একজন অফিসারের নেতৃত্বে ৫/৬ জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। ক্ষেত্র বিশেষ বড় হাটের পাশের সড়কে পুলিশের টহল থাকবে। কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক এ প্রতিবেদককে জানান, এ মাসের শেষ দিকে আমাদী ও দেউলিয়া হাট সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেল যোগে পুলিশের টহল শুরু হবে। কাস্টমস সূত্র জানিয়েছেন, নাভারণ করিডোর দিয়ে ভারত থেকে গরু আসা শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহ নাগাদ গরু আমদানির পরিমাণ বাড়বে। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মো. আনোয়ার উল ইসলাম জানান, খুলনা মহানগরীসহ জেলার নয়টি উপজেলায় ১৬ হাজার ২৩৯টি গরু এবং ৯ হাজার ৭৮৩টি ছাগল মোটাতাজা করা হয়েছে। এ সব গবাদি পশুর মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনার উপ-ব্যবস্থাপক সোহেল নওরোজ জানান, নগরীর জোড়াগেট পশুর হাটে জালনোট প্রতিরোধে বিভিন্ন ব্যাংক ৩০টি বুথ স্থাপন করবে। রাইজিংবিডি/খুলনা/১৮ আগস্ট ২০১৭/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/বকুল