সারা বাংলা

বরিশালে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে সরকারিভাবে সরবরাহকৃত অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় ইনজেকশনটি পুশ করা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সেফট্রিএক্সন নামের ইনজেকশনটি ছিল এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানি  লিমিডেটের।টানা তিন দিনই ইনজেকশনটি পুশের পর শিশু বিভাগের রোগীদের একের পর এক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছিল। ক্ষতিকারক ভেবে শনিবার কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ইনজেকশনটির সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ জেসমিন বেগম জানান,  সেফট্রিএক্সন (২ গ্রাম) অ্যান্টিবায়োটিক  ইনজেকশনটি গত কয়েক দিন ধরে শিশু রোগীর শরীরে পুশ করা মাত্রই আরো অসুস্থ্য হয়ে পড়তো। বিশেষ করে ইনজেকশনটি পুশ করার কয়েক মিনিটের মধ্যে কাঁপুনি আর খিঁচুনি শুরু হয়ে যেতো। বুধবার এমনিভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে ৩ শিশু, বৃস্পতিবার ৭ শিশু আর শুক্রবার ১০ শিশু। ইনজেকশন গুলোর মেয়াদ রয়েছে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত। শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ অসীম কুমার সাহা জানান,  শনিবার সকাল থেকেই সরকারিভাবে সরবরাহকৃত ওই ইনজেকশনগুলো পুশ না করার জন্য নার্সদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি বিষয়টি প্রাথমিকভাবে  পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তবে ইনজেকশন না, ইনজেকশনের সাথে মিশ্রিত ডিস্টিল ওয়াটার সমস্য হয়েছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তিনি জানান, ওই ইনজেকশন পুশ করার পর প্রথামিক পর্যায় শিশুর শরীরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও পরবর্তীতে বড় ধরনের কোন সমস্যা দেখা দেয় নি। তবে এ অবস্থা কিছু কিছু শিশুদের ক্ষেত্রে ঘটেছে। এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম জানান, ইনজেকশনের মেয়াদ রয়েছে। পাশাপাশি ডিস্টিল ওয়াটারেও মেয়াদ আছে। এরপর এমন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় আপাতত শিশু ওয়ার্ডে সেফট্রিএক্সন (২ গ্রাম) অ্যান্টিবায়োটিক  ইনজেকশন সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইনজেকশন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানি লিমিটেডকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাইজিংবিডি/ বরিশাল/ ২০ আগস্ট ২০১৭/ জে. খান স্বপন/টিপু