সারা বাংলা

দাম না পেয়ে হতাশ খামারিরা

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ৫৮টি হাট-বাজারে কোরবানির প্রচুর পশু থাকলে  ক্রেতা কম থাকায় বিক্রি কম হচ্ছে। ফলে গরু পালনের সঙ্গে জড়িত কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খামারিরা লোকসানের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন। পাবনার ৫৮টি হাটের মধ্যে আরিফপুরের হাজিরহাট, ঈশ্বরদীর অরণখোলা, সাঁথিয়ার বোয়ালমারি, বেড়ার চতুরহাটসহ ২২টি বড় হাট রয়েছে। বড় হাটে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে। সেই তুলনায় বিক্রি কম। ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, বন্যার প্রভাব পড়েছে কোরবানির পশুর হাটে। একই অবস্থা বিরাজ করছে পুষ্পপাড়া, দাপুনিয়া, আতাইকুলা, সুজানগর, চিনাখড়া, কাশিনাথপুর, টেবুনিয়া, বনগ্রাম, করমজা, নাকালিয়া, অমৃতকুন্ডা, শরৎগঞ্জ হাটে। স্থানীয় গৃহস্থের পাশাপাশি পশু ব্যবসায়ীরাও হাটে পশু তুলেছেন। তারা দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরু আমদানি করেছেন। তবে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি। বোয়ালমারিয়া হাটের ক্রেতা মিরাজুল ইসলাম জানান, হাটে পশু অনেক বেশি। গত বছর যে গরু ৭৫-৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এবার মিলছে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। আওতাপাড়া হাটে ও বেড়ার নাকালিয়ার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রচুর রয়েছে। কম দামে পশু কিনতে পেরে ক্রেতারা সন্তুষ্ট মনে বাড়ি ফিরছেন। অনেক বিক্রেতা সন্তোষজনক দাম না পেয়ে পশু বিক্রি না করে বাড়ি ফিরে গেছেন। অনেক বিক্রেতা বড় গরু বিক্রি করে আগামী এক বছর পালনের জন্য ছোট গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল গফুর জানান, এবারের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পাবনায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৬২৫টি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে। ২৭ হাজার ৭৫৬ জন খামারি পশু মোটাতাজা করেছেন। রাইজিংবিডি/পাবনা/৩০ আগস্ট ২০১৭/শাহীন রহমান/বকুল