সারা বাংলা

এবার টেকনাফ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল

কক্সবাজার প্রতিনিধি : মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর চৌকিতে গত ২৫ আগস্ট সহিংস হামলার পর বাংলাদেশের উখিয়া সীমান্তের পর এবার টেকনাফের নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঢল নেমেছে। স্থানীয়দের দাবি, বৃহস্পতিবার টেকনাফের ১০টি পয়েন্ট দিয়ে বহু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছেন।  পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, মিয়ানমারে সেনা বাহিনীর নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে চার/পাঁচ দিন গহীন পাহাড়ি এলাকা অতিক্রম করে সীমান্তে অবস্থান নেওয়ার পর বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি চালাচ্ছে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ। সরেজমিন দেখা যায়, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের দুইপাশে জড়ো হওয়া মানুষগুলো মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা। এ সব অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা সীমান্তবর্তী ঘর-বাড়ি, মসজিদ-মাদ্রাসা, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পালিয়ে আসা মানুষগুলো কাঁদা-মাটিতে একাকার। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, যারা কেউ চার দিন, কেউবা সপ্তাহের বেশি অনাহারে থেকে কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তারা উখিয়া সীমান্তের পর এবার টেকনাফের লম্বাবিল, ঝিমংখালী, কাঞ্জরপাড়া ও শাহপরীরদ্বীপসহ নাফ নদীর ১০টি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করছেন। পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গারা বলছেন, মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে চলছে ব্যাপকহারে নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ। টেকনাফের সীমান্তবর্তী মানুষেরা নিজেদের উদ্যোগে বিপন্ন এসব রোহিঙ্গাদের সাধ্যমতো খাবার সরবরাহের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারা বলেন, কয়েক দিন আগে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কম ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তারা তাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গত ২৫ আগস্টের পর থেকে ছয় দিনে জাতিসংঘের হিসাবমতে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ হয়েছে অন্তত ৩০ হাজারেরও বেশি। নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কাছে তথ্য পাওয়া যায়নি। রোহিঙ্গা নতুন করে অনুপ্রবেশের ঘটনা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। তিনি কতজন অনুপ্রবেশ করেছে তা নিশ্চিত নন। রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১ সেপ্টেম্বর ২০১৭/সুজাউদ্দিন রুবেল/বকুল