সারা বাংলা

সব ত্রাণ প্রশাসনে জমা হবে, এরপর বিতরণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের পক্ষে সরাসরি ত্রাণ বিতরণ করা যাবে না। সব ত্রাণ জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখায় জমা করতে হবে এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষে নিয়মমাফিক ত্রাণ বিতরণ করবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তখ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। জেলা প্রশাসক জানান, মিয়ানমারের সংঘাতের জের ধরে মানবিক বিপর্যস্ত মানুষগুলো উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থান করছেন। এদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। এ সব সহায়তার ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা গেছে। বিচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে যারা পাচ্ছেন তারা অনেক পাচ্ছেন, আর যারা পাচ্ছেন না তারা কিছুই পাচ্ছেন না। একই সঙ্গে টানাটানি করে ত্রাণ নিতে গিয়ে অনেক মানুষ আহত হচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষে বিশেষ ত্রাণ শাখা চালু করা হয়েছে। সব ত্রাণ এ শাখায় জমা রেখে সঠিকভাবে নির্ধারিত কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে বিতরণ করা হবে। জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, ইতিমধ্যে এ শাখায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন জমা দিয়েছে। এ সব ত্রাণ পর্যাক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। মানবিক সংকট বিবেচনায় রেখে রোহিঙ্গাদের মাঝে সঠিক বণ্টনের কাজ করছে জেলা প্রশাসন। অনিবন্ধিত সকল রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, তালিকা তৈরি শেষ হলে ত্রাণ বিতরণে নিয়ম চলে আসবে। বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যকর টয়লেট স্থাপনের কাজও চলছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. ইকবাল হোসেন জানান, ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এভাবে চললে নিহতও হতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ত্রাণ বিতরণে নিয়ম চালু করা হয়েছে। এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭/সুজাউদ্দিন রুবেল/বকুল