সারা বাংলা

৯ জেলের কারাদণ্ড, ৭ মণ ইলিশ জব্দ

ফরিদপুর প্রতিনিধি : ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় ফরিদপুরের পদ্মা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নয় জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছে। ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জব্দ করা হয়েছে সাত মণ ইলিশ মাছ ও দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল। কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত ফরিদপুর সদর, সদরপুর উপজেলার চরমাধবদিয়া, নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিচর, চর নাসিরপুর, নারিকেল বাড়ীয়াসহ পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।   ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল হাসান জানান, সরকারি আদেশে প্রজনন মৌসুমে সকল প্রকার ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নদীতে ইলিশ শিকার করছেন,  তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে সদরপুর উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট খান মতিউর রহমান, ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট সজল চন্দ্র শীল এবং একই উপজেলার নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিরচর এলাকায় ইউএনও শোভাংশু মহানের নেতৃত্বে আদালত পরিচালনা করা হয়। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নয় জেলেকে ১৭ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় জব্দ করা হয়েছে সাত মণ ইলিশ মাছ ও দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল। বিপুল পরিমাণ ওই কারেন্ট জাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা ইলিশ মাছ উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/৮ অক্টোবর ২০১৭/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/বকুল