নোয়াখালী প্রতিনিধি : কয়েক বছর আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে নোয়াখালীর ব্র্যান্ডিং হিসেবে ‘নিঝুমদ্বীপ’কে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সঙ্গে থাকছে জেলার ঐতিহ্যবাহী ‘মহিষের দই’। সোমবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সহিদ উদ্দিন এস্কান্দার কচি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে জেলার সংস্কৃতি, স্থান ও গুণী ব্যক্তিরাও ব্র্যান্ডিংয়ের তালিকায় আসবেন। জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর অধীন ‘জেলা ব্র্যান্ডিং, কিশোর বাতায়ন এবং উদ্ভাবকের খোঁজে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম তালুকদার। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আব্দুর রউফ মন্ডলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল আলম, সিনিয়র তথ্য অফিসার কৃপাময় চাকমা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত ফাতিমা। এ ছাড়া জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সরকারের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলাকে ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। প্রায় জেলাকে এর আওতায় আনা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীকে ব্র্যান্ডিং করতে জেলা প্রশাসন দীর্ঘ দিন কাজ করেছে। জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা শেষে নোয়াখালীকে পর্যটন কেন্দ্র ‘নিঝুমদ্বীপ’ দিয়ে ব্র্যান্ডিং করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই সঙ্গে থাকছে ঐতিহ্যাবাহী ‘মহিষের দই’। তিনি বলেন, নিঝুমদ্বীপকে দেশ ও দেশের বাইরে গ্রহণযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিঝুমদ্বীপ ঘুরে গেছেন। জেলার অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করতে এই উদ্যোগ যুগপোযোগী পদক্ষেপ বলেও মনে করেন তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, নিঝুমদ্বীপ যখন দেশ ও দেশের বাইরে নোয়াখালীর ব্র্যান্ডিং হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে, তখন এই জেলার অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হবে। নিঝুমদ্বীপের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন তিনি। শুরুতে ব্র্যান্ডিং নিয়ে দুটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। জেলার দর্শনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বস্তু ও ব্যক্তিদের বিষয়ে তুলে ধরা হয়। দেখানো হয় নিঝুমদ্বীপের সৌন্দর্য। রাইজিংবিডি/নোয়াখালী/২৩ অক্টোবর ২০১৭/মাওলা সুজন/বকুল