সারা বাংলা

শুভ্র হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে আলোচিত শুভ্র হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে নিহতের পরিবার। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুভ্র’র বাবা শাহাদাত হোসেন সিকদার, দাদা হাজী মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন শিকদার, মা শাহনাজ শিকদার, বোন সামান্তা সাদিয়া ও শুভ্রর স্ত্রী শাকিলা আক্তার।        সংবাদ সম্মেলনে শুভ্র’র বাবা শাহাদাত হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জের পোশাক কারখানার কর্মচারী সাখাওয়াত হোসেন শুভ্র হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কাওসারকে এলাকাবাসী ধরে ফতুল্লা থানায় সোপর্দ করলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। মামলা স্থানান্তর হয়েছে সিআইডির কাছে প্রায় দেড় মাস আগে। কিন্তু এ দেড় মাস ধরে মামলার আর কোনো অগ্রগতি নেই। পুলিশ আসামিদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের কোনো চেষ্টা করছে না। যদিও মামলার গ্রেপ্তারকৃত এক নম্বর আসামির কাছ থেকে পাওয়া গেছে নিহতের মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন। সংবাদ সম্মেলন থেকে শুভ্র হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও তদন্ত শেষ করে বিচার শুরুর দাবি জানানো হয়। শুভ্র ফতুল্লার প্ল্যামি ফ্যাশন পোশাক কারখানার জুনিয়র অফিসার ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্ট বিকেল ৪টায় বন্ধু বাবুল সাহা জীবন মোবাইলে ফোন করে নগরীর মাসদাইরস্থ  ‘মায়ের আঁচল’ নামের একটি নির্মাণাধীন ভবনের সাত তলায় ডেকে আনে শুভ্রকে। সেখানে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তারপর রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শুভ্র’র লাশ পাওয়া যায়। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় বশির ও সমীর নামের দুই যুবক শুভ্র’র লাশ রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন সন্দেহভাজন আসামি জীবনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তার কাছ থেকে শুভ্র’র মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের মাথার পেছনে তিন ইঞ্চি গভীর ক্ষতসহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের চিহ্ন থাকলেও পুলিশ ঘটনাটি হত্যা মামলা হিসেবে নিতে সাত দিন দেরি করে। মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু মিলন, বশির ও কাওসার এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

   

রাইজিংবিডি/নারায়ণগঞ্জ/১ নভেম্বর ২০১৭/হাসান উল রাকিব/রুহুল