সারা বাংলা

১২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : গাজীপুরের টঙ্গীতে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে আগামী বছরের ১২ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলনকক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১২-১৪ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৯-২১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।  এদিকে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে কাল শুক্রবার বাদ ফজর থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ুন কবীর। এ ছাড়া গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফারজানা মান্নান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম, গাজীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিন রেজা, গাজীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মোমিনুল ইসলাম, বিশ্বইজতেমার মুরুব্বী প্রকৌশলী মো. গিয়াস উদ্দিন, প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার পবিত্রতা সমুন্নত রেখে সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের যথাসময়ে তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি পরিদর্শক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, এবারের বিশ্ব ইজতেমা এলাকা পাঁচটি সেক্টরে ছয় স্তরে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সচিব মো. আসলাম হোসেন বলেন, বিশ্ব ইজতেমা এলাকায় জেলা প্রশাসন, র‌্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রয়োজনীয় কন্ট্রোল স্থাপন, র‌্যাব ও পুলিশের জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। শুক্রবার জোড় ইজতেমা  শুরু : বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বি প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, আগামীকাল শুক্রবার বাদ ফজর থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চিল্লাবদ্ধ দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা এ জোড় ইজতেমায় অংশ নেন। মঙ্গলবার বাদ জোহর মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে জোড় ইজতেমা। এ জোড় ইজতেমায় দুই লাখ মুসল্লিদের জন্য আয়োজন রয়েছে। জোড় ইজতেমায় ঈমান-আমলসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও তালিম দেওয়া হয়। পরে তারা ইজতেমার দাওয়াতি কাজে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন। দওয়াতি কাজ শেষে তারা আবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা যোগ দেবেন। তিনি আরো বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় ক্রমবর্ধমান মুসল্লির জন্য ইজতেমা ময়দানের পরিসর আরো বাড়ানো দরকার। এর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহায়তা চেয়েছেন।

   

রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১৬ নভেম্বর ২০১৭/হাসমত আলী/এসএন