সারা বাংলা

সমিতির নামে গ্রাহকের টাকা নিয়ে মালিক উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গার সবুজবাগ মেট্রোপলিটন কলেজ রোডে ‘ড্রিম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিমিটেড’র ১২০০ গ্রাহকের বহু টাকা নিয়ে মালিক উধাও হয়েছেন। ঋণ দেওয়ার জন্য প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা করে জামানত নিয়ে মালিক জনৈক রিমন খান বুধবার রাত থেকে লাপাত্তা রয়েছে। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ওই সমিতিতে কর্মরত পাঁচজনকে আটক করেছে। তবে তারাও সমিতির মালিক রিমন খানের প্রতারণার শিকার বলে অভিযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু করা এই সমিতিতে মাঠকর্মী হিসেবে ২৫ জন এবং ব্যবস্থাপক, হিসাবরক্ষক মিলে আরো ১০/১২ জনকে নিয়োগ দেন রিমন খান। তাদের ভালো অংকের বেতন ধরা হয়। বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জামানত নেওয়া হয়। এক মাস না যেতেই সমিতির মালিকের আত্মগোপনের ঘটনায় নিয়োগপ্রাপ্তরাসহ গ্রাহকদের এখন মাথায় হাত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের হোতা রিমন খান, মাসুম বিল্লাহ, রাব্বি ইসলাম ওরফে রাজু, আরিফ ও এনামুল চাকরি দিয়ে ২০-২৫ জনের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা জামানত আদায় করে। সাধারণ মানুষকে লোন দেওয়ার কথা বলে মাসিক সঞ্চয় সংগ্রহ শুরু করে তারা। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে এক কিস্তি দেওয়ার পর কয়েকজন গ্রাহককে লোন দেওয়া হয়। এক লাখ টাকা লোন পেতে মাসিক ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হবে এমন প্রলোভনে পড়ে অসহায় মানুষেরা হিসাব খুলে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে। ৫০ থেকে ৬০ জন গ্রাহককে বুধবার লোন দেওয়ার কথা বলা হয়। সকাল থেকে গ্রাহকরা লোনের টাকা নিতে আসলে মালিকপক্ষের কারো হদিশ মেলেনি। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আবু আনসার (৩৫), শেখ জাহাঙ্গীর (৫০), মো. তহিদুল ইসলাম (৩৩) ও মো. নেছার হাওলাদারকে আটক করে। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, সমিতির মালিক রিমন খানের ঠিকানা কারও কাছে পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে তিনি বড় ধরনের প্রতারক। এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সমিতির কার্যালয় তালাবদ্ধ করে বাড়ির মালিকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। রাইজিংবিডি/খুলনা/২৩ নভেম্বর ২০১৭/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/বকুল