নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ড। সোমবার মেয়র, কাউন্সিল ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরপরই বিকেল থেকে নগরীতে মাইকিং, শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। অপরদিকে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ার পেয়েছেন হাতি প্রতীক। প্রতীক পাওয়ার পর জাপার নির্বাচনী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিল। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছেন নৌকা, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা লাঙ্গল, বিএনপির কাওসার জামান বাবলা ধানের শীষ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের এটিএম গোলাম মোস্তফা হাতপাখা, বাসদের আবদুল কুদ্দুস মই, এনপিপির সেলিম আক্তার আম ও জাপার বিদ্রোহী হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ পেয়েছেন হাতি প্রতীক। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ২১১ জন প্রার্থী পেয়েছেন ঘুড়ি, এয়ার কন্ডিশন, কুমড়া, লাটিম, ঠেলাগাড়ি, রেডিও, টিফিন ক্যারিয়ার, ঝুড়ি, কাঁটা চামচ, করাতসহ ১২টি প্রতীক। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রার্থীরা পেয়েছেন ১০টি প্রতীক। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কাউন্সিলরদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর পর মেয়র প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা নগরীতে শোভাযাত্রা নিয়ে প্রচার চালাতে শুরু করেন। অনেকে মাইকিং করে প্রচারণা করেন। অনেকেই পোস্টার ছাপিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে টাঙ্গিয়ে দিযেছেন। দেখা গেছে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনী প্রচারে ভাসতে শুরু করেছে নগরী। এই প্রচার চলবে ভোটের ৭২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু প্রতীক পাওয়ার পরপরই নগরীর ডিসির মোডে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাস করে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে নৌকা মার্কার বিকল্প নেই। গতকাল দিনভর নগরীর কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি স্পটে প্রচার চালিয়েছেন তিনি। লাঙ্গল প্রতীক পাওয়ার পর জাপা প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, রংপুরে লাঙ্গলের শক্ত অবস্থান রয়েছে। এ অবস্থান কেউ ভাঙতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে লাঙ্গলের বিজয় সুনিশ্চিত। ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া বিএনপি প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা বলেন, জনগণ এ সরকারের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। এদিকে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী আসিফ শাহরিয়ার হাতি প্রতীক পাওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানান, আমি দীর্ঘদিন থেকে জাতীয় পার্টি করি। এখনো আমার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, নির্বাচনকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কোনোপ্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বণ্টন করা হয়েছে। রাইজিংবিডি/রংপুর/৫ ডিসেম্বর ২০১৭/নজরুল মৃধা/মুশফিক