সারা বাংলা

ধরেরবাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজে আফতাব উদ্দিন তোরণ উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার ধরেরবাড়ি মুসলিম হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিদ্যালয় শাখার প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আফতাব উদ্দিন তোরণ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের সামনে ওয়ালটনের সৌজন্যে স্থাপিত এই তোরণের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন) এস এম জাহিদ হাসান। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। পরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রতিষ্ঠানের  সভাপতি ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কর্নেল ডা. মো. আল মামুন, ওয়ালটন গ্রুপের সিনিয়র এজিএম মো. সাফায়াত হুদা, ধরেরবাড়ি মুসলিম হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবগঠিতব্য গভর্নিং বডির প্রস্তাবিত সভাপতি মো. শাজাহান আলী প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম জাহিদ হাসান বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন ভূ-খণ্ড পেয়েছি। এই স্বাধীনতা প্রাপ্তির দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আমরা আজও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। একটি দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি। কিন্তু আজও আমরা উন্নত অনেক দেশ থেকে অর্থনৈতিকভাবে অনেক পিছিয়ে আছি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে ওয়ালটন গ্রুপ। ওয়ালটন তাদের তৈরি পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিদেশিদের মাঝে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।’ জাহিদ হাসান বলেন, ‘বর্তমান যুগের সঙ্গে চলতে গেলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন প্রয়োজন। এখনকার সময়ে কারিগরি শিক্ষা নিয়ে একজন মেশিন অপারেটর যে টাকা বেতনে চাকরিতে যোগ দেয়, বিবিএ-এমবি করেও এখনকার শিক্ষার্থীদের তার থেকে অনেক কম বেতনে চাকরিতে যোগ দিতে হয়।’ তিনি বলেন, ‘যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির ব্যবহারে সম্পৃক্ত হতে হবে। তবে সেটাও লেখাপড়া ঠিক রেখে। এখনকার সময়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে ইন্টারনেট সংযুক্তসহ মোবাইল-ল্যাপটপ দেখা যায়। এতে তাদের লেখাপড়া অনেক ক্ষতি হয়। অভিভাবকদের উচিত শিক্ষার্থীদের এই সব প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারে সচেতন হওয়া। তারা যেন লেখাপড়া বাদ দিয়ে এসব পণ্যে অতিমাত্রায় ঝুঁকে পড়তে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখা।’ উল্লেখ্য, মো. আফতাব উদ্দিন ধরেরবাড়ি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৬১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কার লাভ করেন। কর্মজীবনের ৪২ বছরে তিনি বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/১৬ ডিসেম্বর ২০১৭/শাহরিয়ার সিফাত/সাইফুল