সারা বাংলা

রুপা ধর্ষণ-হত্যা: আরো তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার মামলায় আজ সোমবার আদালতে আরো তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলার বাদীসহ ১৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সমাপ্ত হলো। টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া দুপুর পৌনে ১২টায় চাঞ্চল্যকর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করেন। জবানবন্দি প্রদানকারী ও জব্দ তালিকার সাক্ষী মো. লিটন মিয়া, হজরত আলী ও মো. রুবেল মিয়া সাক্ষ্য দেন। পরে আসামি পক্ষ থেকে সাক্ষীদের জেরা করা হয়। আদালতের বিচারক আগামীকাল মঙ্গলবার ডাক্তার ও অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যের দিন ধার্য্য করেছেন। সাক্ষী হজরত আলী ও রুবেল মিয়া নিহত রুপার মোবাইল আদালতে সনাক্ত করেন। গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহণ শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পর দিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে সনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহণের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/১৫ জানুয়ারি ২০১৮/শাহরিয়ার সিফাত/বকুল