সারা বাংলা

পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদের স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুষ-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌরসভার আটজন কাউন্সিলর। বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে টেন্ডার প্রক্রিয়ার নিয়মনীতি না মেনে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে নিজের লোকদের কাজ দেওয়া, জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কাজ না করে অপ্রয়োজনীয় স্থানে প্রকল্প দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে পৌরসভাকে অকার্যকর পৌরসভায় পরিণত করার অভিযোগ তুলেছেন তারা। এ সময় মেয়রের ওই সকল অনিয়ম বন্ধ করা না হলে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানো হবে বলে জানান কাউন্সিলররা। সম্মেলনে প্যানেল মেয়র ও টেন্ডার কমিটির সভাপতি আব্দুছ ছাত্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন, নবাব আলী, আব্দুর রাজ্জাক তরফদার, খন্দকার জাহিদ হাসান, ছালেহা বেগম, রেখা চৌধুরী ও বিউটি বেগম। এ সময় ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম জাহিদ অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভায় জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কার কাজের টেন্ডার না করে মেয়র তার পছন্দ অনুযায়ী অপ্রয়োজনীয় রাস্তার কাজ টেন্ডার দেন। টেন্ডার হওয়া ওই কাজ মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে তার লোকজনকে কাজ দেন। সংবাদ সম্মেলনে আরেক কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বলেন, পূর্বেও বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন পৌর মেয়র। সম্প্রতি পৌরসভায় হাট বাজার ও বালু মহালের দরপত্রের সিডিউল মেয়রের লোকজন ছাড়া কারো কাছে বিক্রি করেননি। গোপনে দরপত্র বক্স খুলে টাকার বিনিময়ে নিজের লোককে কাজ পাইয়ে দেন অবৈধভাবে। প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক আব্দুছ সাত্তার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পৌরসভার সকল টেন্ডার কমিটির সভাপতি হয়েও কোনো দরপত্র আহ্বানে তাকে জানানো হয় না। টেন্ডার কাজ নেওয়ার জন্য মেয়রকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয়। জনপ্রতিনিধি হয়েও পৌরসভার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংস্কার কাজ করতে পারছেন মেয়রের স্বেচ্ছারিতার কারণে। এ ব্যাপারে পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, ‘‘কাউন্সিলররা ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। পৌরসভার সকল কাজ যথাযথ বিধি অনুসরণ করেই করা হয়। যারা এই অভিযোগ করেছেন তারা নিজেরা সকলেই ঠিকাদারি কাজে নিয়োজিত। তারা ও তাদের পরিবারের লোকজন পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তর থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টায় লিপ্ত থাকে। আর তারা সেই সুবিধা না পাওয়ায় আমার সম্মানহানীর চেষ্টা করছেন।’’ রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/৭ মার্চ ২০১৮/শাহরিয়ার সিফাত/বকুল