নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সোমবার দুপুরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে ছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দুই পরিবারের পাঁচ সদস্য। উপজেলার নগর হাওলা গ্রামের ফারুক ও মেহেদী হাসান মাসুমের পরিবারের তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। নেপালের হাসপাতাল থেকে বাড়িতে মুঠোফোনে মেহেদী হাসান কথাও বলেছেন। বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী মেহেদী হাসানের মামাতো ভাই সাংবাদিক তাজুল ইসলাম সানি জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে নেপাল থেকে মেহেদী হাসানের সঙ্গে তারা মুঠোফোনে কথা বলেছেন। এ সময় মেহেদী হাসান জানান, তিনি নিজে ও তার স্ত্রী সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার অ্যানি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে, ফারুক আহমেদ ও ফারুক আহমেদের তিন বছর বয়সি শিশু তামাররা প্রিয়র কোনো খোঁজ পায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে ফারুক ও মেহেদী হাসানের পরিবারের ৫ সদস্য ছিলেন। সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। তাদের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামে। ফারুক পেশায় ফটোগ্রাফার, মেহেদী হাসান পেশায় ব্যবসায়ী। উভয় পরিবারই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নেপাল যাচ্ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার বন্ধু ফরহাদ হক।
রাইজিংবিডি/গাজীপুর/১৩ মার্চ ২০১৮/হাসমত আলী/এসএন