সারা বাংলা

‘হত্যার উদ্দেশ্যেই জাফর ইকবালের ওপর হামলা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : হত্যার উদ্দেশ্যেই জনপ্রিয় লেখক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলা করা হয় বলে জানিয়েছে হামলাকারী ফয়জুল হাসান ওরফে শফিকুর। সে জানায়, ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও থেকে হামলায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে সে। রোববার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক হরিদাস কুমারের আদালতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার জবানবন্দিতে সে এ তথ্য জানায়। জবানবন্দিতে হামলার পরিকল্পনার কথা জানানোর পাশাপাশি কার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে সে এই কাজটি করেছে আদালতের কাছে সে বিষয়টিও উল্লেখ করে। ১০ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় রোববার বেলা দেড়টায় তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। এ সময় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করলে তখন থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিচারকের খাস কামরায় সাড়ে তিন ঘণ্টার এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী। তিনি ফয়জুরের জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে আরো জানান, জবানবন্দিতে ফয়জুর উল্লেখ করে. ড. জাফর ইকবালের ভূতের বাচ্চা সোলেমান গ্রন্থটির নাম শুনে মনে করেছে তিনি ইসলামবিদ্বেষী। তাকে মেরে ফেলা উচিত। এছাড়া ইউটিউব-ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়াজ শুনে সে হামলায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে আদালতের কাছে স্বীকার করেছে। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কোনো তথ্য দিতে চাননি পুলিশের এই কর্মকর্তা। গত ১১ মার্চ ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মামা ফজলুর রহমান ও মা মিনারা বেগমকে একই আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে বাবা  ও মামার ৫ দিন এবং মায়ের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষ হওয়ায় গত মঙ্গলবার মাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত ৩ মার্চ শনিবার বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলাকালে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করে ফয়জুল (২৫)। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ৮ মার্চ ফয়জুরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আর ১৩ মার্চ তার ভাই এনামুলকে নেওয়া হয় ৮ দিনের রিমান্ডে। এনামুলের রিমান্ড এখনো চলছে। রাইজিংবিডি/সিলেট/১৮ মার্চ ২০১৮/নোমান/মুশফিক