সারা বাংলা

‘ফয়জুরের জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের বিষয় জানত বড় ভাই এনামুল’

সিলেট সংবাদদাতা : ‘ফয়জুরের জঙ্গিবাদী কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানত তার বড় ভাই এনামুল হাসান। এমনকি অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর কৌশলে বাসা থেকে তার (ফয়জুর) ব্যবহৃত মোবাইল, কম্পিউটারের মনিটর-সিপিইউ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল সে।’ মঙ্গলবার সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক হরিদাস কুমারের আদালতে পৌনে দুই ঘণ্টার জবানবন্দিতে সে এ তথ্য জানায়। জবানবন্দিতে তার ছোটভাইয়ের (ফয়জুর) জঙ্গিবাদি কার্যক্রমের সম্পৃক্ততার বিষয়টিও আদালতের কাছে তুলে ধরেছে সে। জবানবন্দির বরাত দিয়ে বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত এনামুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলেও জানান তিনি। এর আগে আট দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ও জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। এ সময় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করলে বেলা দেড়টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত বিচারকের খাস কামরায় পৌনে ২ ঘণ্টার এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। গত ১৮ মার্চ একই আদালতে হামলাকারী ফয়জুর হাসানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তার জবানবন্দির ভিত্তিতে রোববার মধ্যরাতে তার বন্ধু সোহাগকে আটক করে পুলিশ। সোহাগ বর্তমানে সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছে। এর আগে ১১ মার্চ ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মামা ফজলুর রহমান ও মা মিনারা বেগমকে একই আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে বাবা  ও মামার ৫ দিন এবং মায়ের দুদিনের রিমান্ডে মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষ হওয়ায় তাদের সবাইকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গত ৩ মার্চ শনিবার বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলাকালে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করে ফয়জুর (২৫)। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ৮ মার্চ ফয়জুরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ফয়জুর বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। রাইজিংবিডি/ সিলেট/২০ মার্চ ২০১৮/নোমান/মুশফিক