সারা বাংলা

২০ রোগীর চোখ নষ্ট : তদন্ত শুরু

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষু শিবিরে চিকিৎসা নেওয়া ২০ রোগীর চোখ পরে তুলে ফেলার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তিন সদস্যের তদন্ত দল। চুয়াডাঙ্গা সিভিল কার্যালয়ের গঠিত তদন্ত দল শনিবার দুপুর থেকে তদন্ত শুরু করেছে। তারা আগামীকাল সোমবার সিভিল সার্জনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবেন। তদন্ত দলের আহ্বায়ক ডা. শফিউজ্জামান সুমন বলেন, এই তদন্ত শেষ নয়। এরপর উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল আসবে। তখন আবার তদন্ত হবে। তদন্ত দলে আরো রয়েছেন ডা. তারিক হাসান ও ডা. আবুল হোসেন। তদন্ত দল চুয়াডাঙ্গার কেদাগঞ্জস্থ ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এরপর দুপুর ২টার দিকে তারা চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আলুকদিয়ার চকপাড়া গ্রামে ভুক্তভোগী অলি আহম্মেদের বাড়িতে যান এবং তার চোখ নষ্ট হওয়ার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গার ইমপ্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষু শিবিরে নারী ও পুরুষের চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। অপারেশন করেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় নিয়োগকৃত চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন ডা. মোহাম্মেদ শাহিন। অপারেশনের দুই দিন পর ২০ জন রোগীর চোখে ইনফেকশন শুরু হয়। এতে রোগীরা অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন।  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ৯ মার্চ ক্ষতিগ্রস্ত রোগীদের ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেন। পরে তাদের চোখ তুলে ফেলতে হয়। আজ রোববার চোখ হারানো এই ২০ জনকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে হাই কোর্ট রুল জারি করেছে। গত ২৯ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইজীবী অমিত দাসগুপ্ত এই রিট আবেদন করেন। রাইজিংবিডি/চুয়াডাঙ্গা/১ এপ্রিল ২০১৮/এম এ মামুন/বকুল