সারা বাংলা

একই নারী, অথচ ২ সরকারি কর্মকর্তা!

বাগেরহাট সংবাদদাতা : একইসঙ্গে দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার অর্পণা রানী দাস (৩৭)। দু’টি প্রতিষ্ঠানই দুই ধারার। একজন নারী হয়েও তবু দু’টি প্রতিষ্ঠানে হাজিরা ঠিক রাখছেন, এটাও স্থানীয় অনেকের কাছেই বিস্ময়। অর্পণা রানী দাস বর্তমানে চিতলমারী উপজেলার বাবুগঞ্জ বাজার ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসে ইডিএ পদে কর্মরত। একইসঙ্গে তিনি পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাহামুদকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত। এভাবে তিনি দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর ধরেই চাকরি করে আসছেন। বেতন-ভাতা তুলছেন। অর্পণা রানী এখানকারই স্থানীয় বাসিন্দা। তার আরেকটি পরিচয়, তিনি চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের বাবুগঞ্জ গ্রামের শচীন্দ্র নাথ মজুমদারের স্ত্রী। অর্পণা রানীর বাবা অনন্ত বানিয়া বাবুগঞ্জ বাজার ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিসের দায়িত্ব ছেড়ে ভারতে চলে যান প্রায় ১০ বছর আগে। তখন থেকে অর্পণা রানী ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার (ইডিএ) পদে কাজ শুরুর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। দু’টি দায়িত্ব পালনের কথা তিনি সাংবাদিকদের কাছেও স্বীকার করেন। চিতলমারী উপজেলা পোস্ট মাস্টার বাবু চিত্তরঞ্জনও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তবে দু’জায়গা থেকেই সরকারি বেতন-ভাতা তোলা নিয়মবহির্ভূত কি না, প্রশ্ন করলে সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। বাগেরহাট অতিরিক্ত জেলা পোস্ট অফিসের ইন্সপেক্টর বাবুল আক্তার বলেন, ‘অর্পণা রানীর বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হবে। একই ব্যক্তি দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কোনো বিধান নেই। এমন হলে অর্পণাকে অচিরেই একটি পদ ছাড়তে হবে।’ রাইজিংবিডি/বাগেরহাট/৮ এপ্রিল ২০১৮/আলী আকবর টুটুল/টিপু