সারা বাংলা

কোচিং না করলে পোশাক খুলে নেওয়ার হুমকি!

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: কোচিংয়ে পড়তে রাজি না হওয়ায় স্কুল থেকে বের হয়ে যেতে বললেন শিক্ষক। বের হতে চাইলে বলেন পোশাক খুলে রেখে যেতে। অভিযোগ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আলসালেহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের। শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ‘আমরা বিদ্যালয়ে আসলে প্রধান শিক্ষিকার নির্দেশে সহকারী শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম আমাদের কোচিং করানোর জন্য চাপ দেন। কোচিং করতে না চাইলে আমাদের বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। আমরা বিদ্যালয় থেকে বের হতে চাইলে আমাদের পোশাক খুলে রেখে যেতে বলেন, কারণ এই পোশাক বিদ্যালয়ের দেওয়া। আমরা বলি স্যার পোশাক বাড়ি থেকে খুলে নিয়ে আসি। স্যার বলেন, না এখনি খুলে দাও।’ শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম তাদের সাথে সর্বদাই খারাপ আচরণ করেন বলেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। এক অভিভাবক এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। ওই অভিভাবক বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাই লেখাপড়া শেখার জন্য, এভাবে স্কুলের স্যারেরা কোচিং করার জন্য চাপ দিলে আমাদের পক্ষে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’ আরেক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে শনিবার কোচিং করতে চায়নি বলে পোশাক খুলে রেখে যেতে বলেছে শিক্ষক রাশেদুল। এসব ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করেন আলসালেহ্ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। আশেপাশে প্রায় বিদ্যালয়ে কোচিং চলছে কিন্তু আমরা করতে চেয়েছি বলে তা কি দোষের?’ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জোরপূর্বক কোচিং বাবদ ৬০০ টাকা করে নিয়ে ১ ঘন্টা কোচিং করানোর বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘গণিত ক্লাসে বিভিন্ন রকম অংক আছে, ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝতে পারে না বলে কোচিংয়ের মাধ্যমে বোঝানো হয়।’ দৌলতপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হক বলেন, ‘কোচিং করানোর বিষয়ে সরকারি কোনো নিয়ম নেই এবং শিক্ষক নিজ বিদ্যালয়েই কোচিং করাচ্ছে, এটা অন্যায়।’ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘আমিও এমন অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/৯ এপ্রিল ২০১৮/কাঞ্চন কুমার/টিপু