সারা বাংলা

স্কুল থেকে দীপা ও কামরুল বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা ও কামরুল ইসলামকে নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ বৃহস্পতিবার বিকেলে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দীপা ও কামরুল নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন নিহত আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা। তার মৃত্যুর পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২৯ মার্চ রাতে খাবারের সময় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাবু সোনাকে হত্যার অভিযোগ আছে দীপা ও কামরুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহত বাবু সোনার ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলায় দীপা ও কামরুলসহ তাদের দুই ছাত্র সবুজ ও রোকনুজ্জামান, বাবু সোনার ব্যক্তিগত সহকারী মিলন মোহন্তকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে মিলন গত ১৩ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে মারা যায়। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বাবু সোনাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন দীপা ও কামরুল। ১৯৯৪ সালে একই দিনে তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন কামরুল ও দীপা। একই স্থানে চাকরির সুবাদে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা বাবু সোনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ জানান, বুধবার দীপা ও কামরুলকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের দিন থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।  রাইজিংবিডি/রংপুর/১৯ এপ্রিল ২০১৮/নজরুল মৃধা/বকুল