সারা বাংলা

৭ দিন লাইফ সাপোর্টে রেখে মৃত ঘোষণা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : জেলা সদরের জনসেবা ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার শিকার চার বছরের শিশুটি অন্য হাসপাতালে সাত দিন লাইফ সার্পোটে থাকার পর মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। গত সোমবার হার্নিয়া অপারেশনের পর সঙ্কটাপন্ন ওই শিশুকে বেসরকারি প্রাইম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।  কিন্তু স্বজনরা বিষয়টি জানতে পারেন তিনদিন পর। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার  মিঠাপুকুর উপজেলার সাল্টিগোপালপুর এলাকার আব্দুল বাতেন তার চার বছরের ছেলে বাবুর হার্নিয়া অপারেশন করাতে রংপুরের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন জনসেবা ক্লিনিকে ভর্তি করান। ওইদিন ক্লিনিকের মালিক ডা. মোছাদ্দেক হোসেন শিশুর অপারেশন করেন। কিন্তু অপারেশনের পর শিশুটিকে স্বজনদের দেখানো হয়নি। এভাবে তিনদিন পার হয়ে যায়। এনিয়ে বুধবার রাতে শিশুটির স্বজনদের সাথে ক্লিনিকের লোকজনের বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন সাংবাদিক উক্ত ক্লিনিকে গিয়ে শিশুটিকে দেখতে চাইলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজু’র নেতৃত্বে একজন সাংবাদিককে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক ক্লিনিক মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। উক্ত মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এদিকে শিশুটির তথ্য গোপন করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে পার্শ্ববর্তী প্রাইম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সার্পোটে রেখে দেয়। গতকাল সোমবার বিকেলে প্রাইম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ পায় সন্ধ্যার পর। পরে কোতয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। স্দেথানীয়দের ধারণা, অপারেশনের দিনই শিশুটি মারা গেছে। শিশুর মৃত্যুর খবরে অভিভাবকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার আশঙ্কায় বিষয়টি এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল। রংপুর কোতয়ালি থানার ওসি বাবলু মিয়া জানান, শিশুর লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিশুটির অভিভাবক কোন অভিযোগ করেননি। তাই পুলিশ বাদি হয়ে একটি ইউডি মামলা করেছে। রাইজিংবিডি/রংপুর/২৪ এপ্রিল ২০১৮/নজরুল মৃধা/টিপু