সারা বাংলা

ফরিদপুরে তিনটি মেহগনি গাছ কর্তন, অতঃপর..

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর-শিবরামপুর সড়কের বড় তিনটি মেহগনি গাছ কেটে নেওয়া হলে এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মাচ্চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও এক সদস্য গাছগুলো নিয়ে যান। রোববার সন্ধ্যার পর গাছগুলো নিয়ে যাওয়া হলেও মঙ্গলবার তা উদ্ধার করে জেলা পরিষদ। অবশ্য সম্পুর্ণ গাছ ফেরত পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের খলিলপুর-শিবরামপুর সড়কের মেহগনি গাছগুলো জেলা পরিষদ কর্তৃক ১৯৮৬ সালে লাগানো। এসব গাছ এখন বেশ বড়সড় পরিণত। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহ আগে ঝড়ে ২টি গাছ নুইয়ে পড়ে এবং কালভার্ট নির্মাণের কাজে ১টি গাছ কেটে রাস্তার পাশে রাখা হয়। স্থানীয়রা জানান, রোববার সন্ধ্যার পর সেখান থেকে তিনটি মেহগনি গাছ নসিমনে করে নিয়ে যান মাচ্চর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার রশিদ মোল্যা। স্থানীয়রা বাধা দিলে রশিদ মোল্যা তাদের জানান, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিতে বলেছেন। খলিলপুর এলাকার মনির উদ্দিন মল্লিক জানান, তিনটি গাছের আনুমানিক মূল্য হবে কমপক্ষে আড়াই লাখ টাকা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রশিদ মোল্যা বলেন, ‘গাছগুলো তাকে কেটে নিতে বলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী। তার কথায় গাছগুলো কেটে লোক দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। গাছগুলো কোথায় রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে রশিদ মেম্বার বলেন, ‘সেটি চেয়ারম্যান সাহেব জানেন।’ গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে মাচ্চর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ মুন্সী বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে গাছগুলো কেটে একস্থানে রাখার কথা। সেখান থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে গাছগুলো বিক্রি করা হবে।’ এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহানের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি ঢাকায় জরুরী মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান। জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার জানান, ‘চেয়ারম্যান ও মেম্বার মঙ্গলবার জানিয়েছেন গাছগুলো যথাস্থানে রয়েছে। পরে সন্ধ্যায় ১২ ফুট ও ৫ ফুট সাইজের তিনটি লগ উদ্ধার করি।’ এদিকে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ জানান, ‘প্রশিক্ষণে ঢাকায় রয়েছি, ফিরে শনিবার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’ রাইজিংবিডি/ফরিদপুর/২৩ মে ২০১৮/মো. মনিরুল ইসলাম টিটো/টিপু