সারা বাংলা

জাতীয় স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার: প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুক্রবার সীমানা প্রাচীরের ভিতর থেকে এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধের মূল বেদীর পেছনে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণার ডোবা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত যুবকের নাম নয়ন মিয়া। যশোরের ঝিকরগাছা থানায় বাড়ি। বাবার নাম গণি মিয়া। নয়ন আশুলিয়ায় কুরগাঁও এলাকায় ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকত। ভ্যানচালক হিসেবেই পরিচিত সে। নয়নের মা আমেনা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অপরিচিত ব্যক্তি নয়নকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর সে বাসায় ফেরেনি। পরদিন দুপুরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভেতরে নয়নের মৃতদেহের সন্ধান পান তারা। আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, নিহত যুবকের মাথায় ও মুখে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহটি ডোবার কাঁদা মাটির মধ্যে চাপা দেওয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার পর লাশ স্মৃতিসৌধের ভেতর ফেলে গেছে। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে  নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছে। এখানে দিনের বেলা দর্শণার্থীরা হয়রানির শিকার হন- এ অভিযোগ অনেক দিনের। অন্যদিকে রাতের বেলা ফাঁকা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে অপরাধীদের অভয়ারণ্য। চলে বিকৃত যৌন ব্যবসাও। এসব অভিযোগের বিষয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, এসবের কারণ জনবল সংকট। রাইজিংবিডি/সাভার/৯ জুন ২০১৮/সাফিউল ইসলাম সাকিব/টিপু /শাহনেওয়াজ