নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনাকষা ইউনিয়নের চৌকা-মনাকষা এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে কাইয়ুম (২৮) নামের এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফিরোজ (৩৮) নামের অপর একজন মাদক ও হুন্ডি ব্যবসায়ী। এ সময় সাত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি চৌকা-মনাকষা গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে কাইয়ুম আলী। একই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন ওই গ্রামের মৃত কলিমুদ্দিনের ছেলে ফিরোজ। গুলিবিদ্ধ ফিরোজ হুন্ডি ব্যবসায়ী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত। পুলিশ জানায়, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে চৌকা-মনাকষা এলাকায় গোলাগুলিতে দুইজন মাদক ও হুন্ডি ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হন। দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ কাইয়ুম মারা যান। অপর গুলিবিদ্ধ ফিরোজ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উপজেলা চৌকা-মনাকষা এলাকায় অভিযান চালায়। রাত ২টার দিকে অভিযানের সময় মাদক ও হুন্ডি ব্যবসায়ীদের সাথে গোলাগুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধ কাইয়ুমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অপরজনকে রামেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড গুলি ও দুইশ’ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার আরো জানান, রাতের ওই অভিযানে শিবগঞ্জের সাতজন মাদক ব্যবসায়ীসহ জেলায় মোট ১৬ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে, সোমবার দুপুরে রামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় আহত ফিরোজ ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ৬৮ নম্বর বেডে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি ডান পায়ে হাঁটুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া নিহত কাইয়ুমের মরদেহ হিমঘরে রাখা ছিল। তার নিকটাত্মীয়রা না আসায় দুপুর ২টা পর্যন্ত ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শুরু হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। রাইজিংবিডি/রাজশাহী/২৫ জুন ২০১৮/তানজিমুল হক/সাইফুল