সারা বাংলা

বিসিসি নির্বাচন : ২ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিন আট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আজ রোববার প্রথম দিন দুপুরে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে ঢাকার রমনা শাখা সোনালী ব্যাংকে ঋণ খেলাপি থাকায় জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের এবং সমর্থক ভোটারদের একজনের অস্তিত্ব না পাওয়ায় জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) মেয়র প্রার্থী বশির আহম্মেদ ঝুনুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান। বাছাইকালে আওয়ামী লীগের সাদিক আবদুল্লাহ, বিএনপির অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, কমিউনিস্ট পার্টির অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ, বাসদের ডা. মনিষা চক্রবর্তী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব এবং খেলাফত মজলিসের এ কে এম মাহবুব আলমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মনোনয়ন বাতিলে ক্ষুব্ধ জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের দাবি, তিনি গত ৩০ জুন খেলাপি ঋণ পরিশোধ করেছেন। তারপরও তার প্রতি অন্যায় করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি এই আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির খেলাপি ঋণ থাকলে মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বে তা পরিশোধ করতে হবে। খেলাপি ঋণ থাকায় জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপসের এবং একজন সমর্থক ভোটারের অস্তিত্ব না পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী (জাপা বিদ্রোহী) বশির আহম্মেদ ঝুনুর মনোনয়নপত্র বাতিল করার কথা জানান তিনি। প্রথম দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১ থেকে ১৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড ও ১ থেকে ৫ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এবং মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়ণপত্র যাচাই-বাছাই করার সময়সূচি নির্ধারিত আছে। আগামীকাল সোমবার দ্বিতীয় দিন ১৬ থেকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ এবং ৬ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে। বাছাই শেষে বিকেলে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা করবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়। মনোনয়ন বাছাইতে অবৈধ প্রার্থীরা ৪ জুলাই পর্যন্ত বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারবেন। এর পরবর্তী ৩ কার্যদিবসের মধে আপিল নিস্পত্তি করবেন বিভাগীয় কমিশনার। ৯ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীরা স্ব-শরীরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। পর দিন ১০ জুলাই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপরই শুরু হবে প্রচারণা। ৩০ জুলাই ভোট গ্রহণ করা হবে। রাইজিংবিডি/বরিশাল/১ জুলাই ২০১৮/জে. খান স্বপন/বকুল