সারা বাংলা

মানব পাচারে জড়িত পুলিশ সদস্য মালেক কারাগারে

পাবনা প্রতিনিধি : পাবনায় বিদেশে মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশের সদস্য আব্দুল মালেক মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আব্দুল মালেক মল্লিক পাবনার আমিনপুর থানার দুর্গাপুর দক্ষিণ চর গ্রামের আব্দুর রহমান মল্লিকের ছেলে। তিনি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা চিফ জুডিশিয়াল আদালতে জামিন নিতে আসলে ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম তার জামিন নামঞ্জুর করে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলার দ্বিতীয় আসামি তার ভাই আব্দুল খালেক মল্লিক পলাতক। মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার সদর উপজেলার জালালপুর গ্রামের মৃত ইসহাক আলীর ছোট ছেলে মিনহাজুল আবেদীনকে বিদেশ পাঠানোর জন্য বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার চুক্তি হয় পুলিশ সদস্য আব্দুল মালেক মল্লিক ও তার ভাই আব্দুল খালেক মল্লিকের। এর মধ্যে ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয় তারা। এরপর কিছু দিন পর মিনহাজুলকে ভারতে নিয়ে যায় কলকাতা থেকে কানাডায় পাঠাবে বলে। কিন্তু কলকাতায় বিমানবন্দরে না নিয়ে গোপন স্থানে আটক রেখে মিনহাজুলকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। এরপর পাচারচক্রের সদস্যরা মিনহাজুলের ভাইয়ের কাছে ফোন দিয়ে জানায়-মিনহাজুল কানাডায় পৌঁছে গেছে এবং কাজকর্ম করছে। বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাকি টাকা পরিশোধ করে দেন। এর তিন মাস পর অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে। মিনহাজুল মোবাইল ফোনে বলেন, তিনি ভারতে জিম্মি আছেন। তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং প্রতারকচক্র তার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে। পরে বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিভিন্নভাবে তাদের কাছে পাঠিয়ে মিনহাজুলকে উদ্ধার করে। পুরো বিষয়টি নিয়ে পাবনা পুলিশ সুপার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিএমপি কমিশনার, পুলিশ হেড কোয়ার্টারে অভিযোগ করলে তাদের পরামর্শক্রমে পাবনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী-১ নং আদালতে মামলা করা হয়েছে।  রাইজিংবিডি/পাবনা/৯ আগস্ট ২০১৮/শাহীন রহমান/বকুল